প্রথম ডোজে আস্ট্রাজেনেকার টিকা পাওয়ার পর দ্বিতীয় ডোজ না পাওয়া অনেকেই টিকার অপেক্ষায় আছেন। এই টিকার অপেক্ষা চলছে দীর্ঘ চার মাসের বেশি সময় ধরে।
দ্বিতীয় টিকা না পেয়ে অনিশ্চতায় ভুগছেন প্রথম ডোজ গ্রহণকারীদের অনেকেই। কবে, কখন দেওয়া হবে টিকা এ নিয়ে অপেক্ষার প্রহর গুণছেন প্রতিনিয়ত।
তবে এবার সেই অপেক্ষার পালা শেষ হচ্ছে। আগামী মাস অর্থাৎ আগস্ট থেকেই চট্টগ্রামে দেওয়া হবে দ্বিতীয় ডোজের টিকা—এমনই আশার কথা শোনালেন চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন সেখ ফজলে রাব্বি।
তিনি আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, ‘ইতোমধ্যে টিকা আসা শুরু হয়েছে। আশা করছি আগামী মাস (আগস্ট) থেকে আমরা দ্বিতীয় ডোজের টিকা দেওয়া শুরু করতে পারব।
তিনি আর বলেন, ‘চট্টগ্রামে আস্ট্রাজেনেকার প্রথম ডোজ টিকা পাওয়া প্রায় ১ লাখ ১৫ হাজার জনের মতো দ্বিতীয় ডোজের টিকা দেওয়া বাকি রয়েছে।’ এ পর্যন্ত চট্টগ্রামে প্রথম ডোজের টিকা গ্রহণকারীদের মধ্যে প্রায় ৭১ শতাংশই করোনাভাইরাসের টিকার দ্বিতীয় ডোজ দিতে পেরেছেন বলে তিনি দাবি করেন।
এদিকে ‘কোভ্যাক্সের’ আওতায় জাপান থেকে আজ শনিবার (২৪ জুলাই) ২ লাখ ৪৫ হাজার ২০০ ডোজ অক্সফোর্ড-আস্ট্রাজেনেকার টিকা দেশে আসছে।
শুক্রবার (২৩ জুলাই) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, ক্যাথে প্যাসিফিক এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে টিকার এই চালান দেশে আসবে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে টিকার চালানটি বুঝে নেবেন।
শুরুতে বাংলাদেশে দেওয়া হয়েছিল অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা কোভিশিল্ড, যা উৎপাদন করছে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট।
মহামারীতে ভারত বিপর্যস্ত হয়ে পড়লে রপ্তানি নিষেধাজ্ঞার কারণে কোম্পানিটি বাংলাদেশে দুই চালান পাঠানোর পর আর টিকা দিতে পারেনি। ফলে নগর ও পুরো চট্টগ্রাম জেলাতে দ্বিতীয় ডোজের টিকা দেওয়া বন্ধ হয়ে যায়।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের হিসাব অনুযায়ী করোনার টিকার দ্বিতীয় ডোজ দিয়েছেন মোট তিন লাখ ৩৮ হাজার ৪৪৪ জন।
এদের মধ্যে মহানগরীতে এক লাখ ৮০ হাজার ৪৩ জন এবং ১৪ উপজেলায় এক লাখ ৫৮ হাজার ৪০১ জন। এ পর্যন্ত প্রথম ডোজের টিকা নিয়েছেন মোট চার লাখ ৫৩ হাজার ৭৬০জন।
চট্টগ্রামে নগরের ১১টি এবং ১৪ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ডোজের টিকা দেওয়া শুরু হয় ৮ এপ্রিল থেকে। সেসময় দ্বিতীয় ডোজের পাশাপাশি প্রথম ডোজও দেওয়া হচ্ছিল। ২৬ এপ্রিল থেকে বন্ধ থাকে প্রথম ডোজের টিকা দেওয়া।
দেশজুড়ে টিকা কর্মসূচির অংশ হিসেবে ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে প্রথম ডোজ দেওয়া শুরু হয়।
আলোকিত চট্টগ্রাম