এবার জামান হোটেল—সিজলে অভিযান, দুই প্রতিষ্ঠানের কাঁধেই একই অর্থদণ্ড

নোংরা ও দুর্গন্ধময় পরিবেশে মিষ্টান্ন ও বেকারি পণ্য উৎপাদন এবং কর্মীদের স্বাস্থ্য সনদ না থাকায় সিজল কারখানাকে দেড় লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। একই জরিমানা করা হয়েছে জামান হোটেল অ্যান্ড বিরানী হাউজকেও।

এছাড়া ফুটপাত দখল করে ব্যবসা করায় কবির ক্রোকারিজ স্টোরকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

আরও পড়ুন: চাক্তাইয়ে অভিযান—লাখ টাকা জরিমানা খেল হিফস এগ্রো ফুড

সোমবার (৪ এপ্রিল) সকালে নগরের আগ্রাবাদ, জিইসি মোড় এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারুফা বেগম নেলী।

চসিক জানায়, নগরের আগ্রাবাদের সিজল কারখানা, জিইসির জামান হোটেল ও সাগরিকা এলাকায় ফুটপাত দখল করে ব্যবসা করায় ১৫ ব্যক্তিকে ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

এদিকে অপর এক অভিযানে স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট মনীষা মহাজনের নেতৃত্বে নগরের সাগরিকা ও বেপারীপাড়া রোডে ফুটপাত, নালা ও রাস্তা দখল করে চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির দায়ে ১১ দোকান মালিককে মামলাসহ ৩১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

এছাড়া চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শকের দায়ের করা মামলায় সদরঘাট থানার পশ্চিম মাদারবাড়ি ডিটি রোডের মেসার্স রিগ্যাল হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট মালিককে ১২ হাজার টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়।

আরও পড়ুন: নগরের ৩ স্পটে অভিযানে মামলা খেল ১৮ দোকান মালিক

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারুফা বেগম নেলী জানান, অস্বাস্থ্যকর, নোংরা ও দুর্গন্ধময় পরিবেশে মিষ্টান্ন ও বেকারি পণ্য উৎপাদন ও কর্মরত কর্মীদের স্বাস্থ্য সনদ না থাকায় আগ্রাবাদের সিজল কারখানাকে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং একই অপরাধে জিইসি মোড়ের জামান হোটেল অ্যান্ড বিরানী হাউজকে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া চৌমুহনী মোড়ে ফুটপাত দখল করে ব্যবসা করায় কবির ক্রোকারিজ স্টোরকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

অভিযানে চসিকের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ সহায়তা করে।

আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!