শূন্য হচ্ছে ফটিকছড়ির বন, জ্বলছে রাউজান-রাঙ্গুনিয়ার ইটভাটায়

কাঠ পাচারের নিরাপদ রুট ফটিকছড়ি-গহিরা-রাউজান সড়ক। এ সড়ক দিয়ে চাঁদের গাড়ি (জিপ) করে প্রতিদিন প্রকাশ্যে চলছে কাঠ পাচার। বন বিভাগ ও স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে চলছে এই ধ্বংসযজ্ঞ— এমন অভিযোগ স্থানীয়দের। অবাধে কাঠ পাচারের কারণে উজাড় হচ্ছে ফটিকছড়ির সংরক্ষিত বিভিন্ন বনাঞ্চল। রাউজান ও রাঙ্গুনিয়ার বিভিন্ন ইটভাটায় নিয়ে পোড়ানো হচ্ছে এসব কাঠ।

সূত্র জানায়, ফটিকছড়ি-গহিরা-রাউজান সড়ক দিয়ে একসময় রাতের আঁধারে কাঠ পাচার করা হতো রাউজানের ইটভাটায়। তবে এখন বন বিভাগ ও প্রশাসনকে ম্যানেজ করে দিনদুপুরেই চলছে পাচারকাজ। ফলে কাঠ পাচারে নিরাপদ রুট এখন ফটিকছড়ি-গহিরা-রাউজান সড়ক।

স্থানীয়দের অভিযোগ, ফটিকছড়ির সংরক্ষিত বনাঞ্চল খিরাম, মগকাটা, রহতের বিল, গোপালঘাটা, গামরীতলা, নারায়ণহাট, ধুরং, রাঙামাটিয়া, রাঙামাটিয়া রাবার বাগান, ফেনুয়া টি স্টেট, কাঞ্চননগর, মানিকপুর, কালাপানিয়া, কুমারি, বাইন্যেছোলা এবং পার্বত্য খাগড়াছড়ির লক্ষ্মীছড়িসহ বিভিন্ন সংরক্ষিত বনাঞ্চল উজাড় করে কাঠ পাচার হচ্ছে প্রতিদিন।

জানা গেছে, সেগুন, চাপালিশ, গামারি, কড়ই, গর্জন, হাইব্রিড, আকাশমণি, জামরুল, জামসহ নানা প্রজাতির ছোট-বড় গাছ কেটে সরকারি বাগান সংলগ্ন নিরাপদ জায়গায় স্তূপ করে রাখা হয়। এরপর এসব কাঠ রাউজান ও রাঙ্গুনিয়ার বিভিন্ন ইটভাটায় পৌঁছে দেওয়া হয়। কাঠ পাচারের জন্য বন বিভাগ, টহল টিম, থানা পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশের নামে ঘাটে-ঘাটে চাঁদার হাট বসে। কাঠভর্তি প্রতি জিপ থেকে আদায় করা হয় দেড় হাজার থেকে দুহাজার টাকা।

এদিকে দিনদুপুরে কাঠবোঝাই জিপ গাড়ি চলাচল করায় দেখা দিচ্ছে যানজট। এ কারণে হাটবাজার, স্কুল কলেজের সামনে প্রায় প্রতিদিনই যানজট হচ্ছে। কাঠবোঝাই গাড়ির অবাধ চলাচলের জনদুর্ভোগ বাড়ছে বলে অভিযোগ করেন ধর্মপুর আজাদী বাজারের কয়েকজন ব্যবসায়ী।

এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে বন সংরক্ষক ( চট্টগ্রাম অঞ্চল) বিপুল কৃষ্ণ দাশ আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, এসব বিভাগীয় কর্মকর্তার দেখার বিষয়। কাঠ পাচারে দায়ীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আমি বিভাগীয় কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানাব।

আরবি/আলোকিত চট্টগ্রাম

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!