চট্টগ্রামে শিশুকে ধর্ষণের পর খুন, ময়ূর—সাপের নকশা করা রিকশার আড়ালে খুনি

ময়ূর ও সাপের নকশা করা রিকশায় ধরা খেল শিশু ধর্ষক ও খুনি ওসমান হারুন মিন্টু (৪৪)।

বুধবার (১২ অক্টোবর) নগরের ডবলমুরিং থানার ব্যাপারীপাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে বন্দর থানা পুলিশ।

গ্রেপ্তার ওসমান হারুন মিন্টু নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ থানার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। দীর্ঘদিন ধরে তিনি নগরে রিকশা চালাতেন।

আরও পড়ুন : ধর্ষণের পর খুন, চট্টগ্রামে সরকারি কলোনিতেই শিশুর লাশ

এর আগে গত ১৮ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ১০টায় নগরের বন্দর থানার পোর্ট কলোনি এলাকার পরিত্যক্ত এক ভবনের ভেতর থেকে সাত বছর বয়সী সুরমা আক্তারের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

এ বিষয়ে বন্দর থানা উপপরিদর্শক কিশোর মজুমদার আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, ক্লুলেস এ হত্যার মূলহোতাকে শনাক্ত করা যাচ্ছিল না। তদন্তের স্বার্থে ঘটনাস্থলের আশপাশের শতাধিক সিসিটিভি ক্যামেরা ফুটেজ পর্যালোচনা করে শনাক্ত করা হয় এক রিকশা চালককে।

তিনি বলেন, বন্দর থানা এলাকায় প্রচুর রিকশার গ্যারেজ থাকায় হত্যাকাণ্ডের মূলহোতাকে খুঁজে পাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। প্রতিটি গ্যারেজে গিয়েও শনাক্ত করা যায়নি হত্যাকাণ্ডের মূলহোতাকে। পরে সিসিটিভি ক্যামেরা ফুটেজে পাওয়া ময়ূর ও সাপের নকশা করা রিকশাকে ক্লু হিসেবে নেওয়া হয়। তবে রিকশাটি শনাক্ত করা সহজ ছিল না। ফুটেজের প্রতিটি সেকেন্ড পর্যালোচনা করে শনাক্ত করা হয় রিকশাটি।

উপপরিদর্শক আরও বলেন, রিকশাটি বিভিন্ন গ্যারেজ ঘুরেও সন্ধান না পাওয়ায় পরে রিকশায় নকশা করার কারিগরকে খুঁজে বের করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এরপর জিজ্ঞাসাবাদের পর এক কারিগর জানান, তিনি ময়ূর ও সাপের নকশা করা একটি রিকশা তৈরি করেছিলেন। রিকশাটি সিডিএ ২৫ নম্বরে একটি গ্যারেজে আছে। তাঁর দেওয়া তথ্যে সেই গ্যারেজে হানা দিতেই বেরিয়ে আসে শিশু সুরমা আক্তার হত্যার মূল রহস্য। এরপর গত ১৭ সেপ্টেম্বর নকশা করা রিকশা কে চালিয়েছিল তা শনাক্ত করা হয়। ওইদিন রিকশার চালক ছিলেন ওসমান হারুন মিন্টু।

এদিকে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে ওসমান হারুনী মিন্টু জানান, গত ১৭ সেপ্টেম্বর হালিশহর কে ব্লক এলাকায় বিরিয়ানি খাওয়ানোর লোভ দেখিয়ে শিশু সুরমাকে রিকশায় তুলে নিয়ে যান। পরে বড়পুল এলাকায় ভ্রাম্যমাণ এক দোকান থেকে ২০ টাকা প্লেটের বট বিরিয়ানি কিনে নিজে ও সুরমাকে খাওয়ান। খাওয়া শেষে পোর্ট কলোনির একটি পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে শিশুটিকে মুখ বেঁধে ধর্ষণ করেন। পরে গলায় গামছা পেঁচিয়ে তাকে খুন করে পালিয়ে যান।

বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহফুজুর রহমান বলেন, ওসমান হারুনী মিন্টুকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

আরএস/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!