বাঁশখালীতে শিশুর ঝুলন্ত লাশ নিয়ে রহস্য, পালিয়ে গেছে সৎ বাবা

বাঁশখালীতে আজমিনুর আক্তার (১০) নামে স্কুলছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা এ নিয়ে এলাকায় জল্পনা-কল্পনা চলছে।

সোমবার (২২ আগস্ট) রাত ৯টায় সাধনপুর ইউনিয়নের বাণীগ্রাম কচুরজুম গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

আরও পড়ুন : ‘নৃশংস’—শাশুড়িকে খুনের পর লাশ টুকরো টুকরো করে পুঁতে রাখে টিউবওয়েলের পাশে

ঘটনার সময় নিহতের মা ফারজানা আক্তার (৩৪) আনোয়ারার কর্মস্থল গার্মেন্টসে কর্মরত ছিলেন। স্থানীয়দের ধারণা, ঘরে কেউ না থাকার সুযোগে সোমবার বিকাল থেকে রাতের কোনো এক সময় শিশুটিকে হত্যা করা হয়েছে। তবে পুলিশ বলছে ভিন্ন কথা। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলা পর আজ (মঙ্গলবার) সকালে নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।

জানা গেছে, নিহত আজমিনুর আক্তার বাণীগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির ছাত্রী। তার বাবা আকবর হোসেন মারা যাবার পর মা ফারজানা আক্তার অটোরিকশা চালক হেলাল উদ্দিন নামের একজনকে বিয়ে করেন। পরে ফারজানা আক্তার আনোয়ারা উপজেলার ইয়ং ওয়ান নামের এক গার্মেন্টস কারখানায় চাকরি নেন। প্রতিদিন ভোরে চাকরিতে চলে যান, ফিরেন রাত ৮টা-৯টায়। এসময় শিশু আজমিনুর আক্তার ঘরে একা থাকত। ফারজানার নতুন স্বামী হেলাল উদ্দিনের আরও স্ত্রী-সন্তান থাকলেও তাদেরকে রাখা হয়েছে পুকুরিয়া ইউনিয়নের চন্দ্রপুর গ্রামে। লাশ উদ্ধারের আগে থেকে সৎ বাবা হেলাল উদ্দিন পলাতক।

এ বিষয়ে ফারজানা আক্তার বলেন, চাকরি থেকে রাতে ঘরে ফিরে দেখি মেয়ে আজমিনুর আক্তারের গলায় ওড়না প্যাঁচানো লাশ ছাদের বিমে ঝুলছে। এরপর আমার চিৎকারে আশপাশের মানুষ এসে থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. দেলোয়ার হোসাইন বলেন, ওই শিশু কীভাবে মারা গেছে তা নিয়ে এলাকায় ব্যাপক জল্পনা-কল্পনা চলছে। তবে লাশের পারিপার্শ্বিক অবস্থা দেখে আত্মহত্যা বলে মনে হচ্ছে না।

এ বিষয়ে বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. কামাল উদ্দিন বলেন, নিহতের লাশ উদ্ধারের পর সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে হত্যা বলে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে ধর্ষণের আলামত পাওয়া যায়নি। ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে।

ইউবি/এসআর

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!