পটিয়ায় দুর্ঘটনার পরও রেললাইন ঘেঁষে পার্কিং—নেপথ্যে ৩ যুবক

পটিয়ায় ৩ যুবকের কারণে দুর্ঘটনার পরও থামছে না রেললাইন ঘেঁষে অবৈধ দখল। এখনও রেললাইন ঘেঁষে সমানে পার্কিং করা হয় বাস, ট্রাক, অটোরিকশা। কমেনি ভাসমান হকারদের দৌরাত্ম্যও। আর রেললাইন ঘেঁষে দোকানতো রয়েছেই। এ অবস্থায় যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার শঙ্কা করা হচ্ছে।

জানা যায়, রেলস্টেশনের মেইনলাইনের পূর্ব পাশে ডাউন হোম সিগন্যাল পর্যন্ত রেললাইন ও যাতায়াতের রাস্তা একসঙ্গে হওয়ায় দিন-রাত অটোরিকশা, বাস ও ট্রাক পার্কিং করে রাখা হয়। এছাড়া রেললাইন ঘেঁষে দোকান ও ভাসমান ভ্যান গাড়িতে সবজিসহ বিভিন্ন পণ্য বিক্রি করা হয়।

স্থানীয় সূত্র জানায়, দোকান ও ভাসমান হকার বসানোর সঙ্গে জড়িত স্থানীয় আবদুল মান্নান, শফি ও শাহাবুদ্দিন। হকারদের না বসতে মাস্টার ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা নিষেধ করলেও তা কেউ কানেন তুলেন না। নিষেধের পরও অটোরিকশা, বাস ও ট্রাক পার্কিং করে রাখা হয়। এ অবস্থায় যেকোনো মুহূর্তে বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

আরও পড়ুন : চট্টগ্রামে রেললাইন ঘেঁষে আবার জমজমাট বাজার, চলছে চাঁদাবাজি

এদিকে হকার ও পার্কিং বন্ধে বিভাগীয় ব্যবহাস্থাপক, পরিবহন কর্মকর্তা ও প্রকৌশলী বরাবর চিঠি দিয়েছেন রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার। কিন্তু এরপরও আসেনি সমাধান।

জানা গেছে, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি রেললাইন ঘেঁষে পার্কিং করে রাখা অটোরিকশা কক্সবাজার থেকে ঢাকাগামী বিশেষ ট্রেনের ধাক্কায় দুমড়েমুচড়ে যায়। এসময় গাড়িতে থাকা দুজন গুরুতর আহত হন। দুর্ঘটনার পরও কমেনি ভাসমান হকার ও অটোরিকশা চালকদের দৌরাত্ম্য।

এ বিষয়ে পটিয়া রেলস্টেশনের মাস্টার নেজাম উদ্দিন আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, স্টেশন এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণভাবে পার্কিং না করতে বারবার নিষেধ করা হয়েছে। কিন্তু চালকেরা নিষেধ মানছেন না। এ কারণে দুর্ঘটনা ঘটছে। দুর্ঘটনা রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি দিয়েছি।

যোগাযোগ করা হলে ঊর্ধ্বতন প্রকৌশলী (পথ) ষোলশহর মো. জিল্লুর রহমান বলেন, দুর্ঘটনার পর অটোরিকশা পার্কিং সরানো হয়েছিল। কিন্তু এখন আবারও পার্কিং করা হচ্ছে। স্থানীয় হওয়ার কারণে তারা স্টেশন মাস্টারদের কথাও শুনেন না। স্টেশন এলাকা বেড়া দিয়ে ঘেরাও করার প্রক্রিয়া চলছে।

আরবি/আলোকিত চট্টগ্রাম

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!