চট্টগ্রামে রেললাইন ঘেঁষে আবার জমজমাট বাজার, চলছে চাঁদাবাজি

নগরের ঝাউতলা বাজার রেলওয়ে স্টেশন ক্রসিং এলাকার রেললাইন ঘেঁষে গড়ে উঠেছে অবৈধ বাজার। এ বাজার ঘিরে মাসে ১০ লক্ষাধিক টাকার চাঁদাবাজি চলে।

অভিযোগ রয়েছে, বিভিন্ন সময় উচ্ছেদ করা হলেও রেলওয়ের কিছু অসাধু কর্মকর্তা ও কর্মচারীর যোগসাজশে আবারও বসে বাজার।

সচেতন মহলের মতে, বড় ধরনের দুর্ঘটনার আগে এ বাজার উচ্ছেদ করা জরুরি।

সরেজমিন দেখা যায়, ঝাউতলা বাজার রেলওয়ে স্টেশন ক্রসিং এলাকায় রেললাইন রেললাইন ঘেঁষে গড়ে উঠেছে অবৈধ বাজার। বাজারে প্রায় ৫০টি ভাসমান দোকানে সকাল-বিকেল চলে বেচাকেনা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বাজারে প্রতি দোকান থেকে অগ্রিম বাবদ ১ লাখ থেকে ৩ লাখ টাকা নেওয়া হয়েছে। এছাড়া দোকানভেদে দিনে ৫০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা ভাড়া দিতে হয়। সবমিলিয়ে এ বাজার থেকে মাসে ১০ লক্ষাধিক টাকার চাঁদাবাজি চলে।

স্থানীয়রা জানায়, রেললাইন সংস্কার মিস্ত্রি (মেইট) মো. জসিম এসবের মূল হোতা। এছাড়া শহিদুল ইসলাম মকবুল, আবদুল আওয়াল স্বপন, মুরগি বাবু, আজম ও আলতাফের পকেটেও যায় চাঁদাবাজির টাকা। পাপাশি টাকার ভাগ চলে যায় রেলওয়ের অসাধু কর্মকর্তা ও কর্মচারীর পকেটেও।

যোগাযোগ করা হলে বিভাগীয় প্রকৌশলী-১ মো. আবদুল হানিফ আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, ঝাউতলায় উচ্ছেদে গিয়ে আমি হামলার শিকার হয়েছিলাম। উচ্ছেদের পর আবারও বাজার বসে গেছে। শিগগির আবারও উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হবে।

দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) মো. আবিদুর রহমান বলেন, এই বাজার আমরা উচ্ছেদ করার পর আবারও বসে যায়। এতে আমাদের তেমন কিছু করার থাকে না। আমাদের এমন লোকবল নেই যে দিনরাত পাহারা বসাব। সাধারণ মানুষ সচেতন না হলে কী করব! শিগগির সেখানে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হবে।

এসআই/আলোকিত চট্টগ্রাম

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!