‘রক্তমাখা শার্টেই কাল’ পতেঙ্গার বেড়িবাঁধে যুবককে খুন করে ৬ তরুণ

নগরের পতেঙ্গার বেড়িবাঁধে ছুরিকাঘাতে অজ্ঞাত ব্যক্তি নিহতের ঘটনার ১২ ঘণ্টার মাথায় হত্যায় জড়িত ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুর ৩টায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পতেঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জায়েদ মো. নাজমুন নুর।

আটকরা হলেন- মো. আলমগীর (২০), তানভীর হোসেন মীম (১৮), মো. জাহিদ হোসেন ইমন (১৮), মো. আলী আকবর প্রকাশ গুরু (২০), মো. নাসিম (২০) ও মো. মনির উদ্দিন হৃদয় (২০)।

আরও পড়ুন : আত্মহত্যা—নাকি খুন, ঘরের ভেতর ঝুলছিল প্রবাসীর স্ত্রীর লাশ

গত রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় খেজুরতলা বেড়িবাঁধ এলাকা থেকে আনুমানিক ৪০ বছরের অজ্ঞাত এক যুবকের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এসময় নিহতের পিঠে ২১টি, বুকে ৪টি, কাঁধে ১টি এবং দুহাতে ২টি ছুরিকাঘাতের জখম শনাক্ত করা হয়। পরে এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে পতেঙ্গা থানায় হত্যা মামলা করে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আসামিরা একটি ছিনতাই চক্র। শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টার দিকে তারা ছিনতাইয়ে বের হয়ে বেড়িবাঁধ এলাকায় ওঁৎ পেতে থাকে। ভিকটিম রাত আনুমানিক ১টার দিকে মুসলিমাবাদ থেকে বেড়িবাঁধ হয়ে ইপিজেডের দিকে যাচ্ছিলেন। এসময় মো. আলমগীর তাকে আটক করে পরিচয় জিজ্ঞাসা করেন। ভুক্তভোগী তাকে ধাক্কা দিয়ে এগিয়ে গেলে আসামি আলমগীর আবারও পথ আটকে তার পরিচয় জিজ্ঞাসা করেন। একপর্যায়ে তাদের উভয়ের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। এসময় অপর আসামিরা এগিয়ে এলে আলমগীর তার হাতে থাকা ছুরি দিয়ে নিহতের বুকে, কাঁধে ও পিঠে উপর্যুপরি আঘাত করে।

এ বিষয়ে পতেঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জায়েদ মো. নাজমুন নুর আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, অজ্ঞাত যুবককে হত্যার পর ঘটনাস্থল ও আশপাশ এলাকায় পুলিশের নজরদারি বাড়ানো হয়। এসময় রক্তমাখা একটি শার্ট পরিধান করে মো. আলমগীর এলাকায় ঘুরফেরা করছে এমন খবরে তাকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে অজ্ঞাত ওই যুবককে ছুরিকাঘাতে হত্যার কথা স্বীকার করে মো. আলমগীর। পরে তার স্বীকারোক্তি মতে রোববার (৪ সেপ্টেম্বর ) পতেঙ্গা ও ইপিজেড থানা এলাকার বিভিন্ন স্থানে রাতভর অভিযান চালিয়ে তার পাঁচ সহযোগীকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ (সোমবার) তাদের আদালেতে পাঠানো হয়েছে।

এনইউএস/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!