মিরসরাইয়ে যুবলীগ নেতা এলিটের বাড়িতে ‘বোমা হামলা’

কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা নিয়াজ মোর্শেদ এলিটের বাড়িতে বোমা হামলা ও গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় মিরসরাই থানায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।

সোমবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুর দেড়টার দিকে মিরসরাই উপজেলার ১২ নম্বর খৈয়াছড়া ইউনিয়নের নয়দুয়ার এলাকার বাড়িতে শারীরিক প্রতিবন্ধীদের মাঝে হুইলচেয়ার বিতরণের সময় এ ঘটনা ঘটে।

এ বিষয়ে নিয়াজ মোর্শেদ এলিট বলেন, চট্টগ্রাম জুনিয়র চেম্বারের উদ্যোগে মিরসরাইয়ে শারীরিক প্রতিবন্ধীদের হুইলচেয়ার বিতরণ করে দুই প্রেসক্লাবের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজে অংশগ্রহণ করি। এসময় আন্তঃজেলা ডাকাত দলের মূলহোতা, একাধিক হত্যা মামলার আসামি আশরাফুল কামাল মিঠুর সেকেন্ড ইন কমান্ড মো. আলমগীর হোসেন, কামরুল ইসলাম, উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক চাঁদাবাজি ও ধর্ষণ মামলার এজাহারভুক্ত আসামি মাসুদ করিম রানার নেতৃত্বে বেশ কয়েকটি গ্রেনেড, হাতবোমা, গুলি এবং রকেট লঞ্চারের বিস্ফোরণ ঘটায়। এছাড়া সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে দেখা যায়, হামলায় অংশ নেওয়া সন্ত্রাসীরা আশরাফুল কামাল মিঠুর ঘনিষ্ঠ অনুসারী।

আরও পড়ুন: মিরসরাইয়ে মাছ বেচে বাড়ি ফেরা হলো না যুবকের

তিনি বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা ও যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ ভাইয়ের নির্দেশনায় দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় মানবতার সেবা করে যাচ্ছি। এতে বর্তমান এমপি ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এবং তাঁর মেজ ছেলে ভীত এবং দিশেহারা হয়ে আমার ওপর বহুবার হামলার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছেন। এবারের হামলাও ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এবং তাঁর মেজ ছেলের তত্ত্বাবধানে হয়েছে। তবে তাদের জেনে রাখা উচিত আমি শেখ হাসিনা ও শেখ ফজলে শামস পরশ ভাইয়ের কর্মী। আমার ওপর হামলা চালিয়ে আমার জন্মস্থান মিরসরাইবাসীর ও মানবতার সেবা থেকে কেউ দূরে সরিয়ে রাখতে পারবে না।

তিনি আরও বলেন, হামলার সময় মুহুর্মুহু গুলি এবং বোমার শব্দে শারীরিক প্রতিবন্ধীরা দিগ্বিদিক ছোটাছুটি শুরু করে। এ সময় উপস্থিত সবার মাঝেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

এলিট বলেন, একজন এমপি কীভাবে প্রতিবন্ধীদের অনুষ্ঠানে হামলা করাতে পারেন? জাতির বিবেকের কাছে প্রশ্ন রেখে গেলাম। মিরসরাই থানা পুলিশ আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখায় তাদের ধন্যবাদ জানাই।

আরএস/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!