চট্টগ্রাম মেডিকেলে রোগীর স্বজনকে মেরে মামলা খেল সহযোগী অধ্যাপক

রোগীর স্বজনদের মারধরের অভিযোগে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (চমেক) অর্থোসার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মিজানুর রহমানের (৪৫) নামে আদালতে মামলা করেছেন এক ভুক্তভোগী। একইসঙ্গে আসামি করা হয়েছে লিফট অপারেটর মো. রাজুকে (২৮)।

মঙ্গলবার (৫ জুলাই) দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রট সরওয়ার জাহানের আদালতে এ মামলা করা হয়।

এদিকে আদালত মামলা আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছেন।

আরও পড়ুন: ইভ্যালির রাসেল-শামীমার বিরুদ্ধে ফের মামলা

মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ৩ জুলাই চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ননদকে দেখতে যান বিবি আয়েশা ও তার স্বামী-সন্তানসহ আত্মীয়রা। মেডিকেলের একতলা সিঁড়ি বেয়ে উঠার পর নির্মাণাধীন কাজের কারণে যেতে না পেরে তারা লিফটে উঠতে চান। এ সময় লিফটম্যান জানান, এটা শুধু চিকিৎসদের, উঠা যাবে না। লিফটে সাধারণ মানুষ থাকায় বিষয়টি স্বামী রেজাউল ইসলাম দেখিয়ে দিলে এতে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন লিফটম্যান রাজু। শুরু করেন অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ।

এসময় প্রতিবাদ করলে লিফটে থাকা ডা. মিজানুর রহমানসহ অন্য এক অজ্ঞাত রেজাউলকে টেনেহিঁচড়ে লিফটের ভেতর নিয়ে যান। এরপর লিফটম্যান রাজু ও ডা. মিজানুর তাকে বেধড়ক মারধর করেন। এসময় বিবি আয়েশা প্রতিবাদ করলে ডা. মিজানুরের নির্দেশে ১০ থেকে ১২ জন অজ্ঞাত ব্যক্তি এসে আয়শা, তার জা, গৃহপরিচারিকা ও দুই সন্তানকে জোর করে লিফটে তুলেন। পরে তাদের হাসপাতালের পঞ্চম তলার ৩২৬ নম্বর কক্ষে নিয়ে গিয়ে বেধড়ক মারধর করেন। মারধর থেকে বাদ পড়েনি তাদের দুই শিশু সন্তানও। এসময় অজ্ঞাত ব্যক্তিরা বিবি আয়শার শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিয়ে কাপড় ছিঁড়ে ফেলে। পরে খবর পেয়ে হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা এসে তাদের উদ্ধার করে।

এ বিষয়ে বাদীর আইনজীবী আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, চমেক হাসপাতালে রোগীর স্বজনদের ওপর হামলার ঘটনায় চিকিৎসক ও লিফটম্যানসহ অজ্ঞাত ১০ থেকে ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। ঘটনাস্থল এবং আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে অজ্ঞাত আসামিদেরকে শনাক্ত করে ৩০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

আরএস/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!