যুক্তরাষ্ট্রেই মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন হয় বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। অন্যদের ওপর তাদের আরোপিত নিষেধাজ্ঞা ‘একপেশে এবং অকার্যকর’ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
শনিবার (১১ ডিসেম্বর) সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। ওইদিন দুপুরে ঢাকার বারিধারায় ইউনিভার্সিটি অব ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যান্ড সায়েন্সের (ইউআইটিএস) শরৎকালীন নবীনবরণ অনুষ্ঠানে তিনি প্রধান অতিথি ছিলেন। প্রধান অতিথির বক্তৃতা শেষে তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন।
অভিযোগে র্যাবের সাবেক ও বর্তমান সাত কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধেও এমন নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। পরে তাকেই আবার লাল গালিচা অভ্যর্থনা দিয়েছে। যা প্রমাণ করে এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা প্রকৃতপক্ষে অকার্যকর।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে তিনদিনের মানবাধিকার বিষয়ক কর্মশালা
তথ্যমন্ত্রী বলেন, গত ২৬ ফেব্রুয়ারি জাতিসংঘের মানবাধিকার বিশেষজ্ঞরা যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের নির্যাতন এবং প্রক্রিয়াগত বর্ণবাদী বৈষম্য বন্ধে মার্কিন সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। অক্টোবরে দ্য গার্ডিয়ান পত্রিকার এক নিবন্ধে বলা হয়, ১৯৮০ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশি হেফাজতে যত মানুষের মৃত্যু হয়েছে, তার মধ্যে ৫৫ শতাংশ মৃত্যুই ‘আনরিপোর্টেড’ অথবা ‘মিসলেবেলড’। অর্থাৎ এসব মৃত্যুর কথা ও আসল কারণ জানানো হয়নি। সেখানে মোট জনসংখ্যার মাত্র ১০ শতাংশ কৃষ্ণাঙ্গ হলেও পুলিশি হেফাজতে কৃষ্ণাঙ্গদের মৃত্যুর হার শ্বেতাঙ্গদের সাড়ে তিনগুণ বেশি।
তিনি আরও বলেন, গত বছর যুক্তরাষ্ট্রের রাস্তায় পুলিশ একজন কৃষ্ণাঙ্গের গলায় হাঁটু দিয়ে চেপে ধরে মেরে ফেলে। মর্মান্তিক সেই দৃশ্য বিশ্ববাসী আজও ভোলেনি। শুধু তাই নয়, ফিলিস্তিনের শিশুরা তাদের বাড়িঘরে হামলাকারী ইসরায়েলিদের ওপর ঢিল ছুড়লে ইসরায়েলি বাহিনী নির্বিচারে গুলি চালায়। যুক্তরাষ্ট্র তো সেই ইসরায়েলিদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়নি। জাতিসংঘে কোনো দেশ যদি মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাব দেয়, যুক্তরাষ্ট্রই তার বিরোধিতা করে ভেটো দেয়। তাই তাদের এই নিষেধাজ্ঞা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, একপেশে ও অকার্যকর।
আলোকিত চট্টগ্রাম