চট্টগ্রামে মধ্যরাতে ব্যবসায়ীকে খুন, যাবজ্জীবন দণ্ডের হাছান জেলে গেলেও রাজু লাপাত্তা

দুদশক আগে দোকান থেকে বাসায় ফেরার পথে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে নিহত কাজল চৌধুরী হত্যা মামলায় দুআসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডসহ অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জসিম উদ্দিন এ রায় দেন।

দণ্ডিতরা হলেন- নগরের কোতোয়ালি থানার জয়নগর ১ নম্বর গলির আহমদ মিয়ার বাড়ির আবু ছিদ্দিকের ছেলে মো. হাছান। তিনি বায়েজিদ থানার আতুরার ডিপু মৃধাপাড়া জহির সওদাগর বাড়ির স্থায়ী বাসিন্দা। অপর আসামি আবু বক্কর খান রাজু ডবলমুরিং থানার হাজীপাড়া জাহাঙ্গীর কলোনির মো. আসসাফ আলীর ছেলে। তিনি ঝালকাঠির নলছিটি থানার বারই এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা।

আরও পড়ুন : চট্টগ্রামে বিয়ারের টোপে ফেলে যুবক খুন, যাবজ্জীবন সাজা খুনির

বিষয়টি নিশ্চিত করে পিপি দুলাল চন্দ্র দেবনাথ আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, কাজল চৌধুরী হত্যা মামলায় ৩০২ ধারার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় দুআসামি হাছান ও রাজুকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, ২০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও দুমাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া ৩৯৪ ধারায় ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। রায় ঘোষণার সময় হাছান উপস্থিত ছিলেন। তাকে সাজা পরোয়ানা মূলে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তবে রাজু পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, কাজল চৌধুরী সীতাকুণ্ডে একটি প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানে সুপারভাইজার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তার ভাই উজ্জ্বল চৌধুরী চট্টগ্রাম নগরের কোতোয়ালী থানার সিরাজদ্দৌল্লা রোডের মাছুয়া ঝর্ণা এলাকায় চৌধুরী ফার্মেসী পরিচালনা করতেন। ২০০৪ সালের ১৩ আগস্ট রাত ১২টার দিকে ফার্মেসি বন্ধ করে নগদ টাকা নিয়ে তিনি বাসায় ফিরছিলেন। পথে অটোরিকশায় আসায় চার ছিনতাইকারী কাজলকে বুকে ছুরিকাঘাত করে হাতে থাকা ব্যাগসহ  ২৭ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। এসময় কাজলের ভাই উজ্জ্বলকে হাতে ও বুকে ছুরিকাঘাত করে ছিনতাইকারীরা। তাদের চিৎকারে এলাকাবাসী এসে দুই ছিনতাইকারীকে আটক করে। পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কাজল চৌধুরী মারা যান।

এ ঘটনায় কাজলের স্ত্রী রত্না চৌধুরী বাদী হয়ে মামলা করেন। ২০০৬ সালের ৩০ মে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। একই বছরের ২০ নভেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচারিক কার্যক্রম শুরুর নির্দেশ দেন আদালত। মামলায় ১৯ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য উপস্থাপন করে রাষ্ট্রপক্ষ।

আরএস/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!