স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা দিয়েছে রাউজান প্রেস ক্লাব।
শনিবার (৪ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টায় রাউজান প্রেস ক্লাব কার্যালয়ে মুক্তিযোদ্ধা সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী আবদুল ওহাব।
রাউজান প্রেস ক্লাব সভাপতি মো. শফিউল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সংবর্ধিত অতিথি ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা বাদল চন্দ্র পালিত, ইউসুফ খাঁন চৌধুরী, সাধন চন্দ্র পালিত ও সুনিল চক্রবর্তী।
আরও পড়ুন: বীর মুক্তিযোদ্ধাকে কুপিয়ে রক্তাক্ত করলেন মেয়র
এছাড়া মৎস্য ও বৃক্ষরোপণে অবদানের জন্যে পৌর কাউন্সিলর মো. আজাদ হোসেনকে সম্মাননা দেওয়া হয়।
সংগঠনের সাবেক সভাপতি প্রদীপ শীলের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন সিনিয়র সহসভাপতি এম জাহাঙ্গীর নেওয়াজ, সহসভাপতি শাহেদুর রহমান মোরশেদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম রমজান আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক কামাল উদ্দিন হাবিবী, অর্থ সম্পাদক মো. হাবিবুর রহমান, দপ্তর সম্পাদক আমির হামজা, প্রচার সম্পাদক কামরুল ইসলাম বাবু, সদস্য মো. আরফাত হোসাইন, লোকমান আনসারী, শাহাদাত হোসেন ও জিয়াউর রহমান।
উপস্থিত ছিলেন মো. জাহাঙ্গীর আলম সৈয়্যদ মো. বাবু, আবু জাফর, প্রকৌশলী দিলু বড়ুয়া জয়িতা, রায়হান প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে রাউজানে কর্মরত ১৯ সাংবাদিককেও সম্মাননা স্মারক দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: আমার নিষ্ঠার কাছে সব বাধা হার মেনেছে౼বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর মোস্তফা
প্রধান অতিথি বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী আবদুল ওহাব বলেন, ১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীন করার জন্য মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধ করেছিলেন। তখন একটি মন্ত্র ছিল- হয় স্বাধীন করবো, না হয় জীবন উৎসর্গ করবো। দেশ স্বাধীন করার পর মুক্তিযোদ্ধারা ভাতা পাবে, তা কখনো ভাবিনি।মুক্তিযোদ্ধারা সবকারি ভাতা পান না। তাঁরা কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে ভাতা পেয়ে থাকেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে এই ট্রাস্ট গঠন করেন। এই কল্যাণ ট্রাস্টের অধীনে দেশে অনেক শিল্প কারখানা রয়েছে৷ এসব শিল্প কারখানার লভ্যাংশ থেকেই মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা প্রদান করা হয়।
মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা প্রদান করায় তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
শফিউল/ডিসি