বাবার হাত ধরে ফেরা হলো না শিশুর—মুহূর্তেই লাশ ব্যবসায়ীও

বাবার সঙ্গে সকালের নাশতা করতে দোকানে গিয়ে আর আসায় ফেরা হলো না শিশুটির। ঘাতক একটি লরি মাছবাহী পিকআপকে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ৮ বছর বয়সী এক শিশুসহ দুজনের। সীতাকুণ্ড এলাকায় রোববার (১০ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, স্থানীয় মিন্টু মিয়া নামের এক ব্যক্তি রোববার সকালে তার ৮ বছর বয়সী ছেলে সিয়ামকে নিয়ে নাশতা করতে যান। তারা নাশতা করে পরিবারের অন্য সদস্যদের জন্য খাবার নিয়ে বাসায় ফিরছিলেন। রাস্তা পার হওয়ার জন্য দাঁড়িয়ে থাকা মাছবাহী পিকআপের সামনে অপেক্ষা করছিলেন বাবা-ছেলে।

আরও পড়ুন: সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেলেন লোহাগাড়ার আজিজ

কিন্তু সে অপেক্ষা শেষ হওয়ার আগেই হঠাৎ পেছন থেকে একটি লরি পিকআপকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান মিন্টুর ছেলে এবং আরও এক মাছ ব্যবসায়ী। আহত হন মিন্টু মিয়াসহ আরও একজন। আহত দুজনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে স্থানীয় লোকজন।

হাইওয়ে পুলিশের কুমিরা ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক মো. আমীর ফারুক জানান, সীতাকুণ্ড পৌর সদরের উত্তর বাইপাস এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দাঁড়ানো মাছবাহী পিকআপকে একটি লরি ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই শিশুসহ দুজন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় শিশুর বাবাসহ দুজন আহত হয়েছেন।

কুমিরা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোজাম্মেল হোসেন জানান, পুলিশ স্থানীয়দের সহায়তায় লাশ উদ্ধার করেছে। এ ঘটনায় আহত সিয়ামের বাবা মিন্টুকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। লরি ও পিকআপ জব্দ করা হয়েছে। তবে চালক ও সহকারী পালিয়ে গেছে। মরদেহ উদ্ধার করে কুমিরা হাইওয়ে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মিন্টু মিয়া পরিবার নিয়ে পৌর সদরের সোবাহানবাগ এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকেন।

এসি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!