৯৯৯—তে কল, প্রাণে বাঁচল সীতাকুণ্ডের ৯ পর্যটক

সীতাকুণ্ডে ঘুরতে যাওয়া ৯ পর্যটককে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে একটি পেট্রোল পাম্পের ১১ কর্মী।

বুধবার রাতে উপজেলার বাড়বকুণ্ড বিএন সোনারগাঁও ফিলিং স্টেশনে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ আহত পর্যটকদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করেছে। আহত পর্যটকরা বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ শিক্ষার্থী।

বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) শিক্ষার্থীরা মামলা করলে পেট্রোল পাম্পের ১১ কর্মীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

গ্রেপ্তার পাম্পকর্মীরা হলো- সাইফুল ইসলাম (৩৪), মো. মহিউদ্দিন (৩০), সালেহ আহম্মদ (৫৫), মো. হাসান (১৯), মো. মোশারফ হোসেন (২৫), মো. নুর নবী (২৪), মো. সাকিব হোসেন (২২), মো. শাহাদাত হোসেন (৩০), শান্ত চৌধুরী (১৯), ফয়সাল উদ্দিন রনি (১৮) ও আবদুল মোতালেব (৩৭)।

মামলা সূত্রে জানা যায়, বুধবার রাত ১ টার দিকে ৯ পর্যটকের একটি দল বাড়বকুণ্ড চারালকান্দি এলাকার বিএন সোনারগাঁও পেট্রোল পাম্পে মোটরসাইকেলের জ্বালানি তেল নিতে যান। এক পর্যটক পাশের ওয়াস রুমে গেলে পাম্পের এক কর্মী তাকে গালাগাল দেন এবং যেতে বাধা দেন। পর্যটকরা প্রতিবাদ করলে পাম্পের আরো কয়েকজন কর্মী মিলে তাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে। এক পর্যায়ে ওই পর্যটককে মাটিতে ফেলে এলোপাথাড়ি হাতুড়ি, লোহার রড, লাঠি দিয়ে মারতে শুরু করে তারা। পর্যটক দলে বাকি সদস্যরা এগিয়ে এলে তাদেরও একইভাবে মারধর করা হয়।

আরও পড়ুন : গোধূলিবেলায় মাঝ হ্রদে আটকে গেল বোট, পুলিশ গিয়ে উদ্ধার করল ৮ পর্যটককে

পরে জরুরিসেবা নম্বর ৯৯৯ এ ফোন করলে কন্ট্রোল রুম থেকে সীতাকুণ্ড থানাকে এ বিষয়ে জানানো করে। এরপর পুলিশ তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পৌঁছে পর্যটকদের উদ্ধার করে সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হাসপাতালে ভর্তি করে।

চিকিৎসাধীন পর্যটক মুজাদ্দিত উল মুবিন বলেন, আমরা ঢাকার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ লেখাপড়া করি। বান্দরবান, রাঙামাটি ও কক্সবাজার বেড়ানোর উদ্দেশ্যে ৯ সেপ্টেম্বর আমরা ৯ জন ৫টি মোটরসাইকেল নিয়ে রওনা হই।

বুধবার দিবাগত রাতে সীতাকুণ্ড উপজেলা অতিক্রম করার সময় বাড়বকুণ্ড এলাকায় বিএন সোনারগাঁও পেট্রোল পাম্পে জ্বালানি নিতে যায়। এ সময় তাদের ওয়াশরুম ব্যবহার করলে আমাকে পাম্পের কর্মীরা গালাগাল ও মারধর শুরু করে। বাকি ৮ জন এর প্রতিবাদ করলে তাদেরও মারধর করে তারা। পরে ৯৯৯ এ ফোন দিলে পুলিশ এসে আমাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। বৃহস্পতিবার দুপুরে মইন হাসান খান বাদি হয়ে সীতাকুণ্ড থানায় একটি মামলা দায়ের করে।

সীতাকুণ্ড মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের ছাত্ররা মোটরসাইকেল জার্নির কারণে শরীরে নানারকম নিরাপত্তা সরঞ্জাম ব্যবহার করেছিলেন। তা নাহলে পেট্রোল পাম্পের কর্মী ও কিছু গাড়ি চালক-হেল্পার তাদেরকে যে নির্যাতন করেছিলো, এতে যে কেউ ছাত্র হয়তো মারা যেতে পারত। এ ঘটনার ভিডিও ফুটেজ দেখে ১১ জনকে গ্রেপ্তার করেছি আমরা।

সালাউদ্দিন/ডিসি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!