নিখোঁজ বর্ষার বস্তাবন্দী লাশ মিলল জামালখানের নালায়, নেপথ্যে বোনের প্রেম?

নগরের জামালখানে নিখোঁজের ৪ দিনের মাথায় মারজান হক বর্ষা (৭) নামে এক শিশুর বস্তাবন্দী লাশ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন দুজনকে আটক করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) বিকেল ৫টার দিকে জামালখানের গ্র্যান্ড সিকদার হোটেলের পেছনের নালা থেকে বস্তাবন্দি অবস্থায় লাশ উদ্ধার করে এলাকার লোকজন। পরে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।

এর আগে গত ২৪ অক্টোবর (সোমবার) বিকেল পৌনে ৫টার দিকে চিপস কিনতে বাসা থেকে বের হয়ে নিঁখোজ হয় বর্ষা। এ ঘটনায় নগরের কোতোয়ালী থানায় পরিবারের পক্ষে সাধারণ ডায়েরি করা হয়। এছাড়া তাকে খুঁজে পেতে নগরজুড়ে মাইকিংসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারণা চালানো হয়।

আরও পড়ুন: নিখোঁজের ৪ দিন পর মিলল বস্তাবন্দী লাশ—খুনের অভিযোগ মালিকের বিরুদ্ধে

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, নিহত মারজান হক বর্ষা কুসুমকুমারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির ছাত্রী। বাড়ি চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে। সে নগরের জামালখানের সিকদার হোটেলের পাশের গলির একটি ভাড়া বাসায় পরিবারের সঙ্গে থাকত। তার বাবার নাম আব্দুল হক। তিনি প্রায় চার বছর আগে মারা যান। মো. ইউসুফ আলী তার সৎ বাবা। ৬ বোনের সবার ছোট ছিল বর্ষা।

সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেছে, পুলিশ ও সিআইডি ঘটনাস্থল পর্যবেক্ষণ করে আলামত সংগ্রহ করছে। এছাড়া পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের সদস্যরা ও ডিবি পুলিশ সদস্যরাও রয়েছে ঘটনাস্থলে।

মারজান হক বর্ষার বোন সালেহা আক্তার রুবি বলেন, আমরা গরিব। আমাদের সঙ্গে কারো শত্রুতা নেই। সবাই পড়ালেখার পাশাপাশি চাকরিও করি। কিন্তু কী কারণে আমার ছোট বোনকে হত্যা করা হয়েছে এবং এ ঘটনার পেছনে কারা তাদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। গত ৪ দিন ধরে আমার বোনের চেহারা দেখতে পারিনি। আজ (বৃহস্পতিবার) তার লাশ দেখতে হলো।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বর্ষার ভাই সম্পর্কের একজন বলেন, বর্ষার বোনের সঙ্গে প্রেমঘটিত একটি ঘটনা ঘটেছিল। ওই ঘটনার জের ধরে এই হত্যাকাণ্ড হতে পারে। তবে তিনি বিস্তারিত কিছু বলতে রাজি হননি।

যোগাযোগ করা হলে কোতোয়ালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আতিকুর রহমান আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, খালে বস্তাবন্দী লাশ পাওয়ার খবর পাই। ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সন্দেহভাজন দুজনকে আটক করা হয়েছে।

আরএস/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!