কক্সবাজারের উখিয়ায় বন বিভাগের অভিযানের সময় এক বিট কর্মকর্তাকে ডাম্পার চাপা দিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ডাম্পারটি জব্দ করা হলেও পালিয়ে গেছে ঘাতক চালক।
শনিবার (৩০ মার্চ) রাত সাড়ে তিনটার দিকে উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের হরিনমারা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত বিট কর্মকর্তা সাজ্জাদুজ্জামান (৩০) কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের উখিয়া রেঞ্জের দোছড়ি বনবিটে দায়িত্বরত ছিলেন। তিনি মুন্সিগঞ্জ জেলার গজারিয়া উপজেলার ভিটিকান্দি এলাকার মো. শাহজাহানের ছেলে। তিনি এক মেয়ের বাবা।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্র জানায়, শনিবার রাতে রাজাপালং ইউনিয়নের হরিণমারা অংশ থেকে পাহাড় কেটে বালু সরবরাহের সময় অভিযান চালানো হয়। মিনি ট্রাকের (ডাম্পার) সামনে মোটরসাইকেল আরোহী সাজ্জাদ এসে দাঁড়ালে তাকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যায় চালক। এ সময় মস্তিষ্ক ও দেহ দ্বিখণ্ডিত হয়ে গেলে রক্তক্ষরণে ঘটনাস্থলেই মারা যান সাজ্জাদ। পরে তার সঙ্গে থাকা উখিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তার গাড়ি চালক মো. আলীকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয়রা।
আরও পড়ুন : পাহাড় কেটে হাতেনাতে ধরা ইউপি মেম্বার
স্থানীয় সূত্র জানায়, ঘাতক ডাম্পারটি বন বিভাগের তালিকাভুক্ত পাহাড়খেকো ছৈয়দ করিম প্রকাশ কানা ছৈয়দ করিমের। তিনি রাজাপালং ইউনিয়নের তুতুরবিল গ্রামের সুলতান মিয়ার ছেলে। রাজাপালং ইউনিয়নের পশ্চিম হরিনমারা গ্রামের আবুল হাসেমের ছেলে বাপ্পি ডাম্পারটির চালক।
এ বিষয়ে দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা সরোয়ার আলম বলেন, পাহাড়খেকোদের সামাজিক, রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক তথা সম্মলিতভাবে প্রতিহত করতে হবে। আমরা একজন দক্ষ বন কর্মকর্তাকে হারালাম। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে বন বিভাগে যোগদান করেছিলেন সাজ্জাদুজ্জামান।
উখিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা গাজী শফিউল আলম বলেন, আমরা অবৈধ ডাম্পারের বিরুদ্ধে প্রতিনিয়ত অভিযান পরিচালনা করছি। কয়েকদিন আগেও মাটিভর্তি ডাম্পার আটক করে মামলা দিয়েছে। দোছড়ি বিট কর্মকর্তা সাজ্জাদ সরকারি সম্পদ রক্ষা করতে গিয়ে নিজের প্রাণটাই দিয়ে দিলেন। অবৈধ ডাম্পার, বালি উত্তোলন, পাহাড় কাটা, অবৈধ স মিলের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।
যোগাযোগ করা হলে উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামীম হোসেন আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের ধরতে অভিযান চলছে। ইতিমধ্যে ঘাতক ডাম্পারটি আটক করা হয়েছে।
বিডি/আরবি