বনখেকোদের গাছভর্তি ট্রাক আটকে দিল এলাকাবাসী

সীতাকুণ্ডের বাড়বকুণ্ড-বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী এলাকায় সাগর উপকূলে বন উজাড় করার অভিযোগ উঠেছে একটি চক্রের বিরুদ্ধে। প্রতিদিন উপকূলের সরকারি আকাশমনি, কেওড়া ও গেওয়া গাছ কেটে পাচার করছে তারা।

মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) ভোরে কাঠ পাচারকালে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় বসুন্ধরা গ্রুপের সিকিউরিটি গার্ডরা কাঠবোঝাই ট্রাক আটক করে। পরে বন বিভাগে খবর দিলে বন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে এসে গাছগুলো ও ট্রাক জব্দ করেন।

স্থানীয়রা জানান, ১৯৯১ এর প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী উপকূলবাসীকে রক্ষায় গাছগুলো সরকারি উদ্যোগে বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নের দক্ষিণ নড়ালিয়া মৌজায় সাগর উপকূলীয় এলাকায় রোপণ করা হয়। এসব গাছ বড় হলে চোখ পড়ে বনদস্যুদের। প্রতিদিন সকাল-সন্ধ্যা গাছ কাটার মহোৎসব চলে এখানে। এমন পরিস্থিততে নিরব দর্শকের ভূমিকায় বন কর্মকর্তারা। গাছ কেটে ট্রাকে করে পাচার শুরু করে তারা। খবর পেয়ে স্থানীয় জনতার প্রতিরোধের পর এলাকার লোকজন ও বসুন্ধরা গ্রুপের সিকিউরিটিরা এসে ট্রাকসহ গাছ আটকে রাখে। পরে বনবিভাগের কর্মকর্তা এসে তাদের জিম্মায় নেন ট্রাক ও গাছ। ট্রাকটিতে প্রায় ২০-২৫টি আকাশমনি গাছ ছিল।

আরও পড়ুন: ‘গাছের সঙ্গে নিষ্ঠুরতা’—পেরেক ঠুকে সিআরবিতে ‘পরিবেশ’ আন্দোলন সুজনের

প্রত্যক্ষদর্শী মো. জাফর ইসলাম বলেন, গাছ অনেক দিন ধরেই কাটা হচ্ছে। কয়েকদিন ধরেতো দিনে রাতে গাছগুলো কাটছে বনদস্যুরা। স্থানীয় মোহাম্মদ নামের এক ব্যক্তির নেতৃত্বে ৪ জনের একটি দল ১০-১৫ জন শ্রমিক লাগিয়ে গাছগুলো কেটে পাচার করছিল। সোমবার সারারাত অনেকগুলো ট্রাকে কাঠপাচার করা হয়েছে। মঙ্গলবার ট্রাকটি এলাকাবাসী আটক করেছে।

বাড়বকুণ্ড ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ছাদাকাত উল্লাহ মিয়াজী বলেন, বাড়বকুণ্ডের উপকূলীয় বন থেকে প্রচুর পরিমাণ গাছ কেটে বিক্রি করা হচ্ছিল বলে আমি জানতে পেরেছি। যারা গাছগুলো কেটেছে তারা আমার এলাকার কেউ নন। অন্য এলাকা থেকে এসে এসব করেছে। বন বিভাগের লোকজন থাকতে কারা গাছ কাটার সাথে জড়িত বিষয়টি খতিয়ে দেখা খুবই প্রয়োজন।

উপকূলীয় বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. কামাল হোসেন, গাছ কেটে নিয়ে যাবার কথা শুনে আমি দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে ট্রাকসহ গাছগুলো জব্দ করেছি। এ কাজে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।

সালাউদ্দিন/ডিসি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!