জালিয়াতির মাধ্যমে ভূমি অধিগ্রহণের ৩০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মিরসরাইয়ের এক চেয়ারম্যানসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
সোমবার (৬ মার্চ) প্রথম চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল দেবের আদালতে এ মামলা করেন ভুক্তভোগী মো. সলিমুল্লা দিদার।
মামলায় অভিযুক্তরা হলেন- সলিমুল্লা দিদারের ছোট ভাই মনিরুল ইসলাম (৩৩) ও নজরুল ইসলাম (৩৫)। অন্য দুজন হলেন- মিরসরাই জাফরাবাদ মঘাদিয়ার মৃত সফি উল্লার ছেলে আবুল খায়ের এবং ১১ নম্বর মঘাদিয়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসাইন।
এ বিষয়ে বাদীপক্ষের আইনজীবী সাজেদা বেগম সোনিয়া আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, ভূমি অধিগ্রহণের টাকার ভাগ বড় ভাইকে না দিতে এলাকার চেয়ারম্যানের সহায়তায় জালিয়াতির মাধ্যমে ৩০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলার আবেদন করা হলে আদালত সেটি গ্রহণ করেন। এ মামলা তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) দায়িত্ব দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে ৩০ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: টাকা মেরে পালিয়ে ছিল ছদ্মবেশে, অবশেষে বউ-জামাই ধরা খেল চট্টগ্রামে
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি চেয়ারম্যানের সঙ্গে যোগসাজশে জাল ওয়ারিশ সনদ তৈরি করেন দিদারের দুসহোদর। সেই সনদে মৃত শফিউল আলমের বড় ছেলে চট্টগ্রামের হালিশহরে বাসিন্দা সলিমুল্লা দিদারের নাম বাদ দিয়ে আবুল খায়ের নামের এক ব্যক্তির নাম দেওয়া হয়। এতে দিদারের মা নাছিমা বেগমের নাম প্রথম ওয়ারিশ হিসেবে উল্লেখ করে বড় ছেলে হিসেবে দেখানো হয় সেই আবুল খায়েরকে। এরপর দিদারকে বাদ দিয়ে ছোট ভাই মনিরুল ইসলাম ও নজরুল ইসলামের নামে সেই ওয়ারিশ সনদ তৈরি করা হয়।
জালিয়াতি করে তৈরি করা ওয়ারিশ সনদসহ আনুষঙ্গিক কাগজপত্রের মাধ্যমে পশ্চিম ইছাখালী এলাকার অধিগ্রহণ করা একটি জমির ৩০ লাখ ৪১ হাজার ৬৪৫ টাকা আত্মসাৎ করেন তারা। এর বিপরীতে দিদার ওয়ারিশ হয়েও সেই টাকার ভাগ পাননি। এ বিষয়ে অভিযুক্তদের সঙ্গে কথা বলতে গেলে দিদারকে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়। পরে তিনি দণ্ডবিধির ৪০৬/৪১৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/৫০৬/৩৪ ধারায় আদালতে মামলা করেন।
এদিকে জালিয়াতির কাজে জেলা প্রশাসনের এলএ শাখার কর্মচারীদেরও সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী মো. সলিমুল্লা দিদার।