‘টাকা মেরে খেয়ে’ দুদকের তদন্তের মুখে সেই ইউপি চেয়ারম্যান মান্নান

কর্মসৃজন কর্মসূচির ১৬ লাখ টাকা মেরে খেয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তদন্তের মুখে পড়েছেন আনোয়ারা উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও ৪নং বটতলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এম এ মান্নান চৌধুরী।

সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুদকের সমন্বিত অঞ্চল চট্টগ্রাম-২ এর সহকারী পরিচালক নুরুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি টিম তদন্তে আসে। এদিন সকাল ১১টায় বটতলী ইউনিয়ন পরিষদে সরজমিনে তদন্তে আসেন তারা।

এ সময় দুদকের মুখোমুখি হন চেয়ারম্যান এম এ মান্নান। পরে দুদকের দলটি চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে অভিযোগকৃত প্রকল্পগুলো পরিদর্শনে যায়।

জানা যায়, ৪নং বটতলী ইউনিয়নের ৭, ৮, ৯ ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্য রওশন আক্তার মুন্নীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্তে আসে দুদকের দলটি।

অভিযুক্ত প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে শাহ মোহছেন আউলিয়া বিকল্প সড়ক, পশ্চিম বৈরিয়া সড়ক, পূর্ব বৈরিয়া সাপমারা খালের পাইপ কালভার্ট, পূর্ব বৈরিয়া মাহাবুব আলী সড়ক।

চট্টগ্রাম-২ দুদক সহকারী পরিচালক নুরুল ইসলাম বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত প্রকল্পগুলো পরিদর্শন করা হয়েছে। এলাকার সাধারণ জনগণের মতামত গ্রহণ করা হয়েছে। সওজের প্রকৌশলীরা এসেছে। সরেজমিনে তদন্তের পর খুব দ্রুত একটি সরেজমিন প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।

অভিযোগকারী ৪নং বটতলী ইউনিয়নের ৭, ৮, ৯ ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্য ও জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদিকা রওশন আক্তার মুন্নী আকতার। তিনি বলেন, আমার এলাকায় দুর্নীতির নামে লুটপাট হবে তা আমি সহ্য করব না। এসব অনিয়ম, দুর্নীতি লুটপাট বন্ধ করতে সবসময় আমি সোচ্চার থাকব এবং এসব বন্ধ করতে একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে যা করা দরকার তা করে যাব।

এ বিষয়ে জানতে বটতলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এম এ মান্নান চৌধুরীকে ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

উল্লেখ্য, অভিযুক্ত চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ২০২২ সালে ৪০ দিনের কর্মসৃজন কর্মসূচির ১৬ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছিল। গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নে স্থানীয় জনগোষ্টিকে কাজে লাগানোর ৪০ দিনের কর্মসৃজন কর্মসূচির অধীনে ২০২২ সালের প্রথম পর্যায়ে বটতলী ইউনিয়নের জন্য ১০৫ জন শ্রমিককে কাজে লাগানোর অনুমোদনের নামে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করা হয়।

এছাড়াও উল্লেখিত প্রকল্পগুলো নিয়ে দুদকের সমন্বিত অঞ্চল চট্টগ্রাম-২ এর সহকারী পরিচালক রিয়াজ উদ্দীনের নেতৃত্বে ২০২১ সালের জানুয়ারিতেও একটি টিম সরজমিন তদন্ত করেছিল।

কাঞ্চন সুশীল/এসআই

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!