‘পুলিশ সুপার’ সেজে বিকাশে টাকা চান চট্টগ্রামের যুবক

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সেজে করতেন প্রতারণা। চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে মানুষের কাছ থেকে হাতিয়ে নিতেন টাকা। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। আটকা পড়েন পুলিশের জালে।

মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) দিবাগত রাতে লোহাগাড়া থানা পুলিশ সেই ভুয়া ‘অতিরিক্ত পুলিশ সুপার’ মো. নোমানকে গ্রেফতার করেন।

সে উপজেলার বড়হাতিয়া ইউনিয়নের চাকফিরানী দুর্লভের পাড়ার আবদুল কুদ্দুসের ছেলে। এ সময় তার কাছ থেকে সিম ও মোবাইল সেট জব্দ করা হয়।

জানা যায়, ১৯ জুলাই ভোলা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আবু্ল কালাম আজাদের নামে একটি ভুয়া ফেসবুক আইডি খুলেন নোমান। যেটির নাম দেন MD AZAD AZAD। সেই আইডির প্রোফাইল পিকচারে আবুল কালাম আজাদের ছবিও ব্যবহার করেন তিনি।

পরে ওই আইডি থেকে ১৮ বছর বয়সী এসএসসি ও এইচএসসি শিক্ষাগত যোগ্যতাসম্পন্ন কম্পিউটার অপারেটর নিয়োগ দেওয়া হবে বলে একটি পোস্ট করেন নোমান। তার এই পোস্টে সাড়া দেন বড়হাতিয়ার রুদ্র পাড়ার অপু রুদ্রের ছেলে অসীম রুদ্র। ম্যাসেঞ্জারে কল দিয়ে স্যার সম্বোধন করে কথাও বলেন। এ সময় নোমান নিজেকে ভোলা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলে পরিচয় দেন। কথাবার্তার এক পর্যায়ে একটি বিকাশ নম্বরে (০১৮৭২০২৫৪১৭) ৫ হাজার ৫৭৫ টাকা পাঠাতে বলেন।

এক পর্যায়ে টাকা দিতে বেশি চাপ দিলে অসীম বিষয়টি সাতকানিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জাকারিয়া রহমান জিকুকে জানান। তিনি বিষয়টি নিয়ে ভোলা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারেন ফেসবুক অ্যাকাউন্টটি ভুয়া। এরপর সেই প্রতারকের খোঁজ শুরু করে লোহাগাড়া থানা পুলিশ।

মঙ্গলবার দিবাগত রাতে পুলিশের একটি দল চুনতি বাজার থেকে প্রতারক নোমানকে গ্রেফতার করে।

লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকের হোসাইন মাহমুদ বলেন, কিছুদিন আগে ভোলা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজাদ স্যারের নাম ভাঙিয়ে বড়হাতিয়ার নোমান নামে এক যুবক একটি ফেসবুক আইডি খুলে। আইডির প্রোফাইল পিকচারে স্যারের ছবি ব্যবহার করে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ফাঁদ পাতে সে। সেই ফাঁদে পা বাড়ান অসীম রুদ্র নামের এক যুবক। কিন্তু সে প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পেরে পুলিশকে জানায়।

পুলিশের নাম ভাঙিয়ে প্রতারণা করার দায়ে অসীম রুদ্র বাদি হয়ে লোহাগাড়া থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় নোমানকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে চট্টগ্রাম আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানান ওসি।

সাত্তার/ডিসি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!