‘পুলিশের নতুন আবিষ্কার’ ভয়ঙ্কর এক কোটিপতি চোর

মো. ইমন (৩২) একজন গাড়ি ব্যবসায়ী। এলাকার সবাই জানে- সিএনজি অটোরিকশা ও বাস বেচাকেনা করেন তিনি। তবে পুলিশ আবিষ্কার করলো ইমনের নতুন এক পরিচয়!

ইমনের গাড়ি ব্যবসাটা স্রেফ লোক দেখানো। আসলে সে একজন চোর, শুধু চোর নয় ‘কোটিপতি চোর’।

চুরি পেশায় দীর্ঘ এক যুগের অভিজ্ঞতা আছে ইমনের। সঙ্গী আশ্রাফ খানকে নিয়ে কাটেন বিভিন্ন বাসার গ্রিল-তালা। আর হাতিয়ে নেন স্বর্ণালঙ্কার, নগদ টাকাসহ মূল্যবান জিনিস।

তবে চুরিতেও তারা একটা নিয়ম মেনে চলেন। সপ্তাহে দুই দিনের বেশি তারা চুরি করেন না। আবার কোনো বাসায় যদি মনের মতো কিছু না পান তাহলে চলে আসেন চুরি না করেই!

গত এক মাসে বেশ কিছু চুরি করলেও কোতোয়ালী থানায় ৩টি অভিযোগ জমা পড়ে তাদের নামে। ১৭ জুন রাজাপুর লেইনের একটি ভবনে চুরি করেই আটকা পড়েন পুলিশের জালে। এর আগে ৫ মার্চ হেমসেন লেইনে বড়ুয়া ভবনে এবং ১৬ মার্চ হরিশ দত্ত লেইনে শামসুল আলমের বিল্ডিংয়ে চুরি করেন তারা।

সিরিয়াল চুরির ঘটনায় কোতোয়ালী থানা তদন্ত শুরু করলে সিসিটিভি ফুটেজে ইমনকে শনাক্ত করা হয়। এরপর তাকে গ্রেফতার করে থানা পুলিশ। তার স্বীকারোক্তি অনুসারে স্ত্রী ও আশ্রাফকে গ্রেফতার করা হয়। বায়েজিদ থানার বালুছড়ায় তার বাসায় অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করা হয় নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কারসহ বেশ কিছু মোবাইল সেট।

কোতোয়ালী থানার ওসি মোহাম্মদ নেজাম উদ্দিন আলোকিত চট্টগ্রামকে জানান, ইমনকে এলাকায় গাড়ি ব্যবসায়ী হিসেবে চেনে সবাই। ব্যবসার আড়ালে নগরে চুরি করে বেড়ায় সে। তার সঙ্গী আশ্রাফ ইপিজেডে একটি তাওয়েল ফ্যাক্টরিতে কাজ করেন। নগরে ঘুরে ঘুরে যেসব বিল্ডিংয়ে দারোয়ান নেই সেসব বিল্ডিংকে টার্গেট করে তারা। অনেক সময় অতিথির বেশেও ভবনে উঠে পড়ে তারা। তারপর যেসব ঘরে তালা থাকে সেসব ঘরের তালা কেটে লুট করে।

চুরি করা জিনিস বালুছড়ার ভাড়া বাসায় স্ত্রীর কাছে গচ্ছিত রাখেন আর নগদ টাকা জমা দেন ব্যাংকে। সময়-সুযোগ বুঝে স্বর্ণালঙ্কারগুলো বিক্রি করেন হাজারী গলির বিভিন্ন দোকানে। এছাড়া আশ্রাফ ইপিজেডে বিভিন্ন কারখানার শ্রমিকদের কাছে অল্প দামে স্বর্ণালঙ্কার বিক্রি করেন।

এখনো পর্যন্ত এভাবে কোটি টাকার ওপর আয় করেছে তারা। নগর ছাড়িয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায়ও তাদের চুরির ঘটনা আছে বলে জানায় পুলিশ।

ডিসি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!