চুরি করে ধরা, ৫০০ টাকায় মীমাংসার পরও সহকর্মীকে খুন

চুরি করে ধরা পড়ায় সহকর্মীকে খুনের দায়ে মো. কাউসার নামে এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাকে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (১০ জুলাই) চট্টগ্রাম প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. কামাল হোসেন শিকদারের আদালত এ রায় দেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত মো. কাউসার (৪২) চাঁদপুর জেলার মতলব দক্ষিণ থানার উত্তর উপাদি এলাকার এবি সিদ্দিকের ছেলে।

আরও পড়ুন: বড় ভাইকে খুন করে পালিয়ে গেল ছোট ভাই

বিষয়টি নিশ্চিত করে অতিরিক্ত মহানগর পিপি অ্যাডভোকেট কানু রাম শর্মা আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, সহকর্মীকে ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগে করা মামলায় একমাত্র আসামি কাউসারকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আসামির উপস্থিতিতে রায় ঘোষণার পর সাজা পরোয়ানা মূলে কারাগারে পাঠানো হয়।

আদালত সূ্ত্রে জানা গেছে, ২০১১ সালের ৫ অক্টোবর নগরের বন্দর থানার বন্দরটিলা এলাকায় বজলুর রহমানকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে কাউসার। তারা দুজন একটি সিগারেট কোম্পানিতে কর্মরত ছিলেন। কাউসার ছিলেন সেই কোম্পানির শিক্ষানবিশ কর্মকর্তা।

হত্যাকাণ্ডের আগের দিন বজলুর রহমানের ব্যাগ, ছাতা ও সিগারেট চুরি করে নিয়ে যায় কাউসার। পরদিন কাউসার থেকে এসব উদ্ধার করে ম্যানেজার ও অন্যান্য কর্মকর্তারা উভয়পক্ষের সম্মতিতে ৫০০ টাকা জরিমানা করে ঘটনাটি সমাধান করেন। কিন্তু এ ঘটনায় সম্মানহানী হওয়ায় ক্ষিপ্ত হয় কাউসার। অফিস থেকে বের হওয়ার পর অফিসের সামনেই বজলুর রহমানকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেন কাউসার।

এ ঘটনার পর নিহতের স্ত্রী পারভীন বাদী হয়ে স্থানীয় থানায় মামলা করেন। সেদিনই কাউসারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। একই বছরের ২৬ ডিসেম্বর তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ। বিচারিক কার্যক্রম পরিচালনার সময় রাষ্ট্রপক্ষ ৯ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য উপস্থাপন করে।

আরএস/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!