কোরবানির ঈদের দিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৫ হাজার টন বর্জ্য অপসারণ করেছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)।
এদিন কোরবানির বর্জ্য অপসারণে মাঠে ছিল প্রায় সাড়ে ৪ হাজার পরিচ্ছন্ন কর্মী । তারা সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে নগরের ৮০ শতাংশ বর্জ্য অপসারণ করে। দ্রুত বর্জ্য অপসারণের লক্ষ্যে চসিকের দামপাড়া অফিসে একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়।
বর্জ্য অপসারণ স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর মোবারক আলী জানান, নগরকে চারটি জোনে ভাগ করে চারজন কাউন্সিলরের নেতৃত্বে বর্জ্য অপসারণের লক্ষ্যে ঈদের দিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত একটানা কাজ করা হয়েছে। এবার লক্ষ্য ছিল সাড়ে ৭ হাজার টন আবর্জনা অপসারণ করা। কিন্তু কোরবানি কম হওয়ার কারণে প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার টন বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে।
এর আগে চসিক মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী ১০ ঘণ্টার মধ্যে নগরের সব কোরবানি বর্জ্য অপসারণের ঘোষণা দেন।
বুধবার দুপুরে নগরে কোরবানির বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম পরিদর্শন করেন মেয়র।
এদিন প্রায় সন্ধ্যা পর্যন্ত নগরের বিভিন্ন ওয়ার্ড এলাকার রাস্তা ও ফুটপাতে কোরবানির বর্জ্য পড়ে থাকতে দেখা যায়। অধিকাংশ জায়গায় ছিটানো হয়নি পানি ও ব্লিচিং পাউডার। রাস্তায় রক্তের ছোপ ছোপ দাগ ভেসে ছিল।
এদিকে ঈদের দ্বিতীয় দিনেও চট্টগ্রামের বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় গরু ও ছাগল কোরবানি দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২২ জুলাই) নগরের বিভিন্ন এলাকায় রাস্তা, ফুটপাত ও বাড়ির আঙ্গিনায় পশু কোরবানি দিতে দেখা গেছে।
চসিকের উপ-প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম বলেন, ‘আমাদের পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। নগরের প্রধান সড়কগুলোতে কোনো বর্জ্য নেই। দ্বিতীয় দিন আজ নগরে কিছু কিছু এলাকায় কোরবানি হচ্ছে। এসব বর্জ্যও দ্রুত সময়ের মধ্যে অপসারণ করা হবে।’
নগরের কোথাও ময়লা-আবর্জনা পড়ে থাকতে দেখলে কন্ট্রোল রুম নম্বর : ৬৩০৭৩৯ ও ৬৩৩৬৪৯ জানালে দ্রুত তা অপসারণ করা হবে বলে জানান তিনি।
জেলা প্রাণিসম্পদ অফিস সূত্রে জানা গেছে, এবার নগরে প্রায় ৮ লাখ ৯ হাজার পশু জবাই করা হয়েছে।
আরবি