সাংবাদিককে বেঁধে চেক ছিনিয়ে ধরা খেল সেই কায়সার হামিদ—ক্ষোভ সিইউজের

নগরে সাংবাদিককে জিম্মি করে ২৬ লাখ টাকার চেক আদায়ে করা মামলায় অভিযুক্ত দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এসময় তাদের কাছ থেকে চেক দুটি উদ্ধার করা হয়।

সোমবার (৭ নভেম্বর) সকালে নগরের বহদ্দারহাট এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে শনিবার (৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় নগরের পাঁচলাইশ থানার কাতালগঞ্জ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

গ্রেপ্তাররা হলেন- বহদ্দারহাট বারৈপাড়া এলাকার শফি চৌধুরীর ছেলে মো. কায়সার হামিদ (৩৫) ও সাতকানিয়া উপজেলার আমিলাইশ শীলপাড়ার জ্ঞানেন্দ্র শীলের ছেলে মৃদুল শীল (৪৮)।

আরও পড়ুন: বহদ্দারহাটের ‘আতঙ্ক’ কায়সার হামিদ শেষমেশ ধরা খেল ছিনতাই মামলায়

পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের (সিইউজে) সদস্য সাংবাদিক মো. আহমাদুর রহমান শাওনের বাবা প্রয়াত সাংবাদিক মো. ওবায়দুর রহমানের সঙ্গে জায়গা সংক্রান্ত টাকার লেনদেনে মৃদুল শীলের বিরোধ ছিল। শনিবার সন্ধ্যায় মীমাংসার কথা বলে মৃদুল শীল, কায়সার হামিদ ও মো. রিফাতসহ অজ্ঞাত ২০ থেকে ২৫ জন সন্ত্রাসী কাতালগঞ্জ রোডে তার অফিসে যায়। এসময় তারা সাংবাদিক শাওনকে শারীরিক নির্যাতন ও জিম্মি করে ১৩ লাখ করে মোট ২৬ লাখ টাকার দুটি চেক জোর করে লিখিয়ে নিয়ে চলে যায়। এসময় সিইউজে ও প্রেস ক্লাব সদস্য সিনিয়র সাংবাদিক মাখন লাল সরকার ও মো. জসিম উদ্দিন চৌধুরী নামে দুসাংবাদিককে লাঞ্ছিত করে অফিস থেকে বের করে দেয়। জোরপূর্বক চেক আদায়কালে সন্ত্রাসীরা মোবাইলে ভিডিও ধারণ করেন। পরে সাংবাদিক নেতাদের সঙ্গে পরামর্শ করে পাঁচলাইশ থানায় মামলা করেন সাংবাদিক শাওন।

এ বিষয়ে পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাজিম উদ্দিন মজুমদার আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, মামলার পর আজ (সোমবার) বহদ্দারহাট এলাকা থেকে কায়সার হামিদ ও মৃদুল শীলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ মামলায় রিফাতসহ অন্যান্য পালাতক আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের ১৪ নভেম্বর সিউজের সাবেক সভাপতি সাংবাদিক রিয়াজ হায়দার চৌধুরী ও সিইউজে নেতা স্বরূপ ভট্টাচার্যের ওপর হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন কায়সার হামিদ। এছাড়া ২০২১ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর এক নারীর করা শ্লীলতাহানি ও ছিনতাই মামলাও তিনি গ্রেপ্তার হন।

এদিকে সাংবাদিক শাওনকে শারীরিক নির্যাতন ও প্রবীন সাংবাদিক মাখন লাল সরকারকে লাঞ্ছিতের ঘটনায় নিন্দা ও ক্ষোভ জানিয়েছে সিইউজে।

সোমবার (৭ নভেম্বর) এক যৌথ বিবৃতিতে সিইউজে সভাপতি তপন চক্রবর্তী ও সাধারণ সম্পাদক ম. শামসুল ইসলাম বলেন, পূর্ব বিরোধের জেরে মো. আহমাদুর রহমান শাওনকে শারীরিক নির্যাতন ও জিম্মি করে ২৬ লাখ টাকার চেক আদায় ও প্রবীণ সাংবাদিক মাখন লাল সরকারকে লাঞ্ছিতের ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। পুলিশ ইতোমধ্যে মৃদুল কান্তি শীল ও কায়সার হামিদ নামে দুআসামিকে গ্রেপ্তার করেছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্য আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।

এনইউএস/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!