জামালখানে দুই কিশোর গ্যাং গ্রুপের মারামারি, মাথা ফাটল নিশান গ্রুপের

মিছিল থেকে হঠাৎ বিক্ষিপ্ত হয়ে বেশকিছু ছেলে চেরাগী পাহাড় লুসাই ভবনের গলিতে প্রবেশ করছিল। কয়েকজনের হাতে লাঠিও ছিল। সেই সময় গ্যাং লিডার সুজয়মান বড়ুয়া জিতুসহ অন্তত ত্রিশজন মিলে দাঁড়িয়ে থাকা বেশ কয়েকজনকে মারধর শুরু করে। এসময় বেশ কয়েকজন রক্তাক্ত হয়েছে— বলছিলেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রত্যক্ষদর্শী।

শনিবার (৪ জুন) বেলা ১২টার দিকে নগরের জামালখান ওয়ার্ডের চেরাগী পাহাড় মোড় আজাদী গলিতে দুপক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। এসময় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সহসভাপতি গোলাম রসূল নিশান গ্রুপের ওপর প্রতিপক্ষ অতর্কিত হামলা চালায় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

আরও পড়ুন: চট্টগ্রামের কিশোর গ্যাং—আড্ডা থেকে ভয়ঙ্কর অপরাধ, তুচ্ছ ঘটনায় খুন

এদিকে মারামারির ঘটনায় আহত হয়েছেন সোহেল, রাসেল ও সাইফুল আকবর। তারা সবাই নিশানের অনুসারী বলে জানা গেছে।

জানা যায়, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে নগর যুবলীগের সমাবেশে মিছিল নিয়ে যোগ দিতে আসে ওই দুই গ্রুপ। নিশান গ্রুপ তাদের কার্যক্রম শেষে চেরাগী পাহাড় লুসাই ভবন এলাকায় অবস্থান করে। এসময় খালেদ হোসেন অনন্ত, সুজয়মান বড়ুয়া জিতু, ফয়সাল রাজসহ আরো ২০ থেকে ৩০ জন তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে সোহেল, রাসেল, সাইফুল আকবর গুরুতর আহত হন। পূর্বশত্রুতার জের ধরেই দুপক্ষের মধ্যে মারামারির এ ঘটনা।

চেরাগী পাহাড়ের স্থানীয় এক যুবক আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, চেরাগী পাহাড় এলাকায় বহিরাগতরা এসে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন ঝামেলা সৃষ্টি করে। তাদের এসব ঘটনার কারণে স্থানীয়দের পড়তে হচ্ছে পুলিশের তোপের মুখে।

তিনি আরও বলেন, মারামারি করতে আসা ছেলেগুলো আকবরশাহ এলাকার। আকবরশাহ এলাকার দ্বন্দ্ব মিটিয়ে নিয়েছে চেরাগী পাহাড়ে।

আরও পড়ুন: দাপিয়ে বেড়ানো কিশোর গ্যাং ‘টেনশন গ্রুপের’ ৯ কিশোর র‌্যাবের জালে

যোগাযোগ করা হলে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহসভাপতি গোলাম রসূল নিশান আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, চেরাগী পাহাড় এলাকায় আমরা দাঁড়িয়ে ছিলাম। এসময় প্রতিপক্ষ গ্রুপ এসে আমাদের ওপর হামলা চালায়। এতে আমাদের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী গুরুতর আহত হন। বর্তমানে তারা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন কোতোয়ালি থানাধীন জামালখান পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই বাবলু কুমার পাল। তিনি আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, প্রেস ক্লাবে যুবলীগের বিক্ষোভ সভায় যোগ দিতে লিমনের নেতৃত্বে একটি মিছিল যাচ্ছিল। এসময় মিছিল থেকে কিছু ছেলে বিক্ষিপ্ত হয়ে চেরাগী পাহাড় এলাকায় মারামারি করে। ঘটনাস্থলে পুলিশের উপস্থিতিতে তারা পালিয়ে যায়।

আরএস/আলোকিত চট্টগ্রাম

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!