ত্রিভুজ প্রেমে খুন—দুবন্ধু জেলে গেলেও তরুণীকে ঘিরেই যত প্রশ্ন

ত্রিভুজ প্রেমের বলি নগরের বাকলিয়া থানার বলিরহাটের রাকিবুল ইসলাম রিকাত। এ ঘটনায় অভিযুক্ত দুই বন্ধুকে আটক করেছে পুলিশ। তবে যে তরুণীকে ঘিরে এই খুন এ ঘটনায় তার কোনো ইন্ধন আছে কি-না তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন বলে মনে করছে সচেতন মহল।

জানা গেছে, দুবন্ধুর সঙ্গে এক তরুণীর প্রেম নিয়ে বিরোধ শুরু। এ বিরোধের জেরে ধরে গত ৩১ অক্টোবর বিকেলে বলিরহাটের কর্ণফুলী নদীর পাশে সাকিব, হৃদয় ও তাদের সহযোগী আরমান, আরজু সানিফসহ কয়েকজন মিলে রিকাতকে খুন করে। এ ঘটনায় নিহতের বাবা মো. শরীফ বাদী হয়ে মামলা করেন।

মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) অভিযুক্ত গোলাম কাদের হৃদয় ও সাকিব নামের দুবন্ধুকে গ্রেপ্তার করে বাকলিয়া থানা পুলিশ।

আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে তরুণীর ‘প্রেমিক বদলের’ শোধ নিতেই খুন করা হয় যুবককে

এদিকে যাকে ঘিরে ত্রিভুজ প্রেম ও খুন এ হত্যাকাণ্ডে সেই তরুণীর কোনো ইন্ধন আছে কি-না তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন বলে মনে করছেন সচেতন মহল। তারা বলছে, এ ঘটনায় সমাজে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। নৈতিকতার অভাবে কিশোর-কিশোরীরা একাধিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ায় তা নিয়ে দ্বন্দ্ব ও খুনের সংখ্যা বাড়ছে। এসব অনৈতিক কাজ থেকে বেরিয়ে আসতে নৈতিক শিক্ষা ও আইনি পদক্ষেপ নেওয়া দরকার ।

সচেতন মহলের মতে, মেয়েটি যদি জেনেশুনে একাধিক প্রেম করে তা নৈতিকতার অভাব ও প্রতারণা। এছাড়া যদি খুনের সঙ্গে জড়িত থাকে তাহলে তা ফৌজদারি অপরাধ। এজন্য খুনের ঘটনায় মেয়েটির জড়িত থাকার বিষয় খতিয়ে দেখা জরুরি। কারণ এ ঘটনায় একজন নিহত হয়েছেন, বাকি দুজনকে জেলের ঘানি টানতে হবে।

যোগাযোগ করা হলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাকলিয়া থানার এসআই মো. আমিনুল ইসলাম আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, বাকলিয়ায় বন্ধুর হাতে বন্ধু খুনের ঘটনায় দুজনকে আটক করা হয়েছে।

ত্রিভুজ প্রেমে খুনের ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, শুনেছি একটি মেয়েকে নিয়ে এই খুন। মামলার তদন্ত চলছে। তদন্তে যদি কারো জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া যায় তাহলে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।

সিএম/আলোকিত চট্টগ্রাম

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!