তীব্র গরমে পানিশূন্যতা, বাড়ছে কচি তালের চাহিদা

তীব্র তাপদাহে অতিষ্ঠ মানুষ। কোথায় স্বস্তি পাবে তা নিয়েই যত চিন্তা। গরমে অস্থির পথচারীদের এক মুহূর্তের জন্য হলেও স্বস্তি এনে দিচ্ছে কচি তালের শাঁস।

গরম বাড়ায় বেড়ে গেছে তালের শাঁসের চাহিদা। চাহিদা বাড়ায় বিক্রিটাও জমজমাট। নগরের ব্যস্ত রাজপথের মোড় থেকে শুরু করে বিভিন্ন অলি-গলিতেও এখন বিক্রি হচ্ছে তাল। সাইজ ভেদে প্রতিটির দাম ১৫ থেকে ২০ টাকা। তীব্র গরমে পানিশূন্যতায় ভোগা মানুষ মুহূর্তের স্বস্তি পেতে পথের ধারে দাঁড়িয়েই খাচ্ছে তালের শাঁস।

সরেজমিন নগরের কদমতলী এলাকার রাস্তা ও ফুটপাতে দেখা গেছে কচি তালের বাজার। পাইকারির পাশাপাশি বিক্রি চলছে খুচরাও। এছাড়া বিআরটিসি, ফিরিঙ্গীবাজারের ফলের আড়তসহ বিভিন্ন জায়গায় ট্রাকে ট্রাকে আসছে কচি তাল। এসব স্থানে পাইকারি দরে তাল কিনে নিচ্ছেন খুচরা বিক্রেতারা।

কয়েকজন পাইকারি বিক্রেতা জানান, তাল সবচেয়ে বেশি উৎপাদন হয় কুমিল্লা জেলায়। সেখান থেকে পাইকাররা চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে যান। আবার অনেকে আগেভাগেই মালিকের সঙ্গে চুক্তি করে রাখেন।

কদমতলীর কয়েকজন পাইকারি তাল বিক্রেতা জানান, তারা কুমিল্লা জেলাসহ অন্যান্য জেলা থেকে কচি তাল সংগ্রহ করেন। লকডাউনের কারণে পরিবহণ ভাড়া বেশি থাকায় এবার দামটা একটু বেশি। আকারভেদে প্রতি হাজার তালের দাম ৫ হাজার থেকে ৭ হাজার টাকা।

চকবাজার এলাকার খুচরা তাল বিক্রেতা ইয়াকুব বলেন, গরম বেড়ে যাওয়ায় বাজারে এখন তালের শাঁসের ভালো চাহিদা রয়েছে। প্রতি পিচ ১৫ থেকে ২০ টাকায় বিক্রি করছি। বিক্রিও বেশ ভালো। তবে বেশি দামে কিনতে হওয়ায় লাভ কম হচ্ছে।

কচি তালের গুণ

পুষ্টিগুণের পাশাপাশি তালের শাঁসের ঔষধিগুণও রয়েছে। প্রচণ্ড গরমে শরীরে পানিশূন্যতা সৃষ্টি হলে তালের শাঁস দ্রুত তা পূরণ করে। তাই এই মধু মাসের বাজারে অন্যান্য ফল থাকলেও কচি তালের কদর একেবারেই আলাদা।

একটি তালে প্রতি ১০০ গ্রামে শূন্য দশমিক ৮ গ্রাম খনিজ পদার্থ, ২০ দশমিক ৭ গ্রাম শর্কর, শূন্য দশমিক ৫ গ্রাম আঁশ, ৭৭ দশমিক ৫ ভাগ জলীয় অংশ, প্রায় ৮৭ কিলোক্যালরি খাদ্যশক্তি এবং ৮ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম রয়েছে।

আলোকিত চট্টগ্রাম

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!