আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপির মধ্যে একটা না রোগ দেখা দিয়েছে, সবকিছুতেই যেন না বলা। সংলাপে যাবে না, নির্বাচনে যাবে না, এমনকি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেও যাবে না। এখন আমি আশঙ্কার মধ্যে আছি না না বলতে বলতে বিএনপিটায় কখন নাই হয়ে যায়।
রোববার (১৯ ডিসেম্বর) বিকেলে বিটিভি চট্টগ্রাম কেন্দ্রে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: জনবিচ্ছিন্ন দলই নির্বাচন বর্জনের কথা বলে : তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াত যদি নেতিবাচক রাজনীতি এবং স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তিকে নিয়ে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র না করতো, তাহলে ৫০ বছরে বাংলাদেশ আরও অনেক বেশি এগিয়ে যেত। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবকে অনুরোধ জানাব, উনি শিক্ষিত লোক হয়ে যেন অশিক্ষিতের মতো কথা না বলেন।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আগে তিনবার দেশ পরিচালনা করেছেন। এখন চতুর্থবারের মতো দেশ পরিচালনা করছেন। এসময়ে দেশের অগ্রগতি-উন্নতি হয়েছে। বঙ্গবন্ধুকে যখন হত্যা করা হয়, তখন বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ছিল ৯ দশমিক ৫৪ শতাংশ। সেই জিডিপির রেকর্ড আমরা অতিক্রম করতে পেরেছি।
৫০ বছরে বাংলাদেশে উন্নয়নে নয় বরং পেছনের দিকে এগিয়ে গেছে-মির্জা ফখরুলের এমন মন্তব্যের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে আমি বুদ্ধিমান এবং জ্ঞানী মানুষ বলে জানতাম। কিন্তু দলকানা হতে গিয়ে তিনি এরকম বুদ্ধিহীন হয়ে গেছেন, জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছেন এটা আমাকে আশ্চর্য করেছে।’
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রেই মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন হয় : তথ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, গত ৫০ বছরে বাংলাদেশ যেভাবে এগিয়েছে, এটি পৃথিবীর সামনে উদাহরণ। বাংলাদেশ সমস্ত সূচকে পাকিস্তানকে অতিক্রম করেছে। ১৯৭০-৭১ সালে পাকিস্তান আমাদের চেয়ে সবক্ষেত্রে এগিয়ে ছিল। মাথাপিছু আয় ছিল ৫০ শতাংশের বেশি। সেই পাকিস্তান আজ মানব উন্নয়ন, সামাজিক, অর্থনৈতিক সূচকসহ সবক্ষেত্রে আমাদের চেয়ে পিছিয়ে।
তিনি আরও বলেন, মাথাপিছু আয়ের ক্ষেত্রে আমরা ভারতকে অতিক্রম করেছি। আগে বাংলাদেশে শতকরা ৪১ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্য সীমার নিচে ছিল, সেটি এখন ২০ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে। এগুলো আমার বক্তব্য নয়, বিশ্বব্যাংক আইএমএফসহ বিশ্ব সম্প্রদায়ের বক্তব্য। তাদের সমীক্ষায় এসব তথ্য উঠে এসেছে।
আরবি