উজানের ঢলে কাপ্তাই হ্রদে পানি বাড়ায় ডুবে গেছে ‘সিম্বল অব রাঙামাটি হিসেবে পরিচিত ঝুলন্ত সেতু। বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের তত্ত্বাবধানে রয়েছে ঝুলন্ত সেতুটি।
রাঙামাটি পর্যটন হলিডে কমপ্লেক্সের ব্যবস্থাপক আলোক বিকাশ চাকমা জানিয়েছেন, আজ (৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টার দিকে আমরা লক্ষ্য করেছি পর্যটন সেতুর ওপর পানি উঠেছে। ঝুলন্ত সেতুর পাটাতনের ৬ ইঞ্চি ওপর পর্যন্ত পানি উঠেছে। পাটাতন পানিতে ডুবে যাওয়ার কারণে আপাতত সেতুতে প্রবেশের টিকিট বিক্রি বন্ধ রাখা হয়েছে। সেতুর উপর থেকে পানি নেমে এলে পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হবে। তখন আবার টিকিট বিক্রি কার্যক্রম শুরু হবে।
এদিকে কাপ্তাই হ্রদের পানি পরিমাপ করে থাকে কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্র। কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ (কন্ট্রোল রুম) সূত্র জানিয়েছে, রুলকার্ড অনুযায়ী বর্তমানে কাপ্তাই হ্রদে পানি রয়েছে ১০৫ দশমিক ৭০ মিনস সি লেভেল (এমএসএল)। স্বাভাবিক হিসেবে থাকার কথা ছিল ৯৯ দশমিক ৪৬ এমএসএল।
জানা যায়, কাপ্তাই হ্রদে ১০৯ মিনস সি লেভেল পর্যন্ত পানি ধারণ সক্ষমতা থাকলেও বর্তমানে ১০৫ এমএসএল পানিতেই ডুবে গেছে ঝুলন্ত সেতু। অন্যদিকে কাপ্তাই হ্রদ ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনা কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ১২০ এমএসএল জলসীমার মধ্যে কোনো স্থাপনা নির্মাণের অনুমতি নেই। কিন্তু এই জলসীমার নিচেই নির্মিত সেতুটি।
পর্যটন সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, হ্রদে পানি ধারণ সক্ষমতার রুলকার্ড না মেনে অপরিকল্পিতভাবে সেতুটি নির্মাণের ফলে বর্ষা মৌসুমে হ্রদে পানি বাড়লে ডুবে যায় দেশ-বিদেশে রাঙামাটির প্রতীক ঝুলন্ত সেতুটি।
আলোকিত চট্টগ্রাম