টার্গেট ইউনিয়ন পরিষদ—স্কুল, ১০ ল্যাপটপসহ পুলিশের জালে চক্রের ৩

মিরসরাইয়ে সংঘটিত বিভিন্ন চুরির ঘটনায় চক্রের মূলহোতা দেলোয়ার হোসেনসহ তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এসময় তাদের কাছ থেকে দেশি অস্ত্র, ল্যাপটপ, মোটরসাইকেল, মোবাইল ও চুরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।

রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১২টায় মিরসরাই থানায় চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার (মিরসরাই সার্কেল) ইফতেখার হাসান এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।

এসময় তিনি বলেন, গ্রেপ্তাররা চোর-ডাকাত সিন্ডিকেটের সক্রিয় সদস্য। চট্টগ্রামকে চার ভাগে ভাগ করে তারা গণহারে চুরি সংঘটিত করতো। দিনের বেলায় নির্দিষ্ট এলাকায় গিয়ে তারা ছক আঁকত। এরপর রাতে সুযোগ বুঝে চুরি করতো। তাদের মূল টার্গেট ছিল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সরকারি দপ্তর এবং ইউনিয়ন পরিষদ।

আরও পড়ুন: টার্গেট ‘বৃদ্ধ’ চালক—এবার জাল নোট দিয়ে ধরা খেল প্রতারক

জানা যায়, গত ২২ নভেম্বর উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নে নৈশ প্রহরী কার্তিক দাশকে মারধর করে দুটি ল্যাপটপ ও নগদ ৪৬ হাজার টাকা নিয়ে যায় চোরের দল। এরপর ২৭ নভেম্বর উপজেলার ওয়াহেদপুর ইউনিয়নের ৫টি ল্যাপটপ, ২ ফেব্রুয়ারি মিঠানালা ইউনিয়নের মলিয়াইশ উচ্চ বিদ্যালয় ও সুফিয়া মাধ্যমিক উচ্চ বিদ্যালয়ের ২টি ল্যাপটপ, নগদ ১ লাখ টাকা এবং সর্বশেষ ১০ ফেব্রুয়ারি মিরসরাই সদর ইউনিয়নের মজহারুল হক চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়ের ২টি ল্যাপটপ চুরি হয়। এছাড়া বিভিন্ন এলাকার গরু ও ঘর-বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটে।

এ বিষয়ে মিরসরাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কবির হোসেন বলেন, শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ২টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বড়তাকিয়া চক্ষু হাসপাতাল এলাকায় একটি চোরাই মোটরবাইকসহ হুমায়ুন কবির ওরফে কবির নামে একজনকে আটক করা হয়। এসময় তার কাঁধে থাকা ব্যাগ থেকে চুরির বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। এরপর তার দেহ তল্লাশি করলে দেশি তৈরি একটি এলজি এবং দুটি কার্তুজ পাওয়া যায়।

পরে কবিরের দেওয়া তথ্যে নগরের বায়েজিদ এলাকায় অভিযান চালিয়ে চোরচক্রের মূলহোতা দেলোয়ার হোসেন ও আক্তারুজ্জামান রাজু নামে আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় দেলোয়ারের ভাড়া বাসা থেকে চুরি হওয়া ১০টি ল্যাপটপ ও একটি স্মার্ট ফোন উদ্ধার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে জোরারগঞ্জ ও মিরসরাই থানায় চুরি, ডাকাতি ও অবৈধ অস্ত্র রাখার অপরাধে ৫টি মামলা করা হয়েছে।

ওসি আরও বলেন, গ্রেপ্তার তিনজনকে আজ (রোববার) আদালতে পাঠানো হয়েছে। তাদেরকে রিমাণ্ডে নিতে আদালতে আবেদন করা হয়েছে।

এএ/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!