জ্বর—সর্দিতে অবহেলা নয়, ৩ সপ্তাহের বেশি কাশি থাকলেই ভয়

যক্ষ্মা বর্তমানে মৃত্যুর কারণ না হলেও দিনের পর দিন বেড়ে চলেছে এ রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। তাই কাশি হলেই কোনোভাবেই অবহেলা না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে বলছেন বিশেষজ্ঞরা।

চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্যানুযায়ী, ২০২১ সালে রোগী শনাক্ত হয় ২০ হাজার ৮৫৭ জন। এর আগে ২০২০ সালে চট্টগ্রামে যক্ষ্মা আক্রান্ত রোগী ছিল ১৪ হাজার ১১৬ জন। অর্থাৎ গত এক বছরে যক্ষ্মা আক্রান্ত রোগী বেড়েছে ৬ হাজার ৭৪১ জন। এর মধ্যে এ রোগে মারা গেছেন ২২৮ জন। গত এক বছরে এ রোগ থেকে সুস্থ হয়েছেন ১৬ শতাংশ রোগী।

যক্ষ্মারোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অনেকেই জ্বর, সর্দি, কাশি নিয়ে বাড়িতে বসে থাকেন। করোনা হতে পারে ভেবে কেউবা হাসপাতালে আসেন না। এভাবে অবহেলা করলে খারাপ কিছু ঘটতে পারে।

আরও পড়ুন: শিশুর মৃত্যু—মা ও শিশু হাসপাতালে, অবহেলার আঙুলে ডাক্তার—নার্স

চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, যক্ষ্মাও একটি সংক্রামক রোগ। করোনার মতো এটিও ফুসফুসকে সংক্রমিত করে। তিন সপ্তাহ বা তার অধিক সময় কাশি হলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নিয়মিত ওষুধ গ্রহণ করতে হবে।

চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. ইলিয়াছ চৌধুরী বলেন, যক্ষ্মা নিয়ে আমাদের প্রচার-প্রচারণা অব্যাহত আছে। তারপরও সাধারণ মানুষকেই সচেতন হতে হবে বেশি। কোনোভাবেই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ গ্রহণ করা যাবে না।

এদিকে বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) পালন করা হচ্ছে বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস। দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করেছে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়। এবারের প্রতিপাদ্য বিষয়, ‘বিনিয়োগ করি যক্ষ্মা নির্মূলে, জীবন বাঁচাই সবাই মিলে’।

এসআই/আলোকিত চট্টগ্রাম

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!