জ্ঞান স্বীকৃতি প্রজ্ঞার জন্য ক্ষুধার্ত হন, তৃপ্ত নয় : ড. আহমদ কায়কাউস

প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব ড. আহমদ কায়কাউস বলেছেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে কাজ চলছে। আমাদের প্রতিটি তরুণ যাতে শোভন পেশার মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে পারে সেজন্য চলছে বিপুল কর্মযজ্ঞ।

শনিবার (২৬ নভেম্বর) পোর্ট সিটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির দ্বিতীয় সমাবর্তন অনুষ্ঠানে ভার্চুয়াল বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বেলা সাড়ে ১২টায় নগরের একটি কনভেনশন সেন্টারে এ আয়োজন করা হয়।

ড. আহমদ কায়কাউস বলেন, প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা হচ্ছে শিক্ষাযাত্রার সূচনা। জ্ঞান, স্বীকৃতি ও প্রজ্ঞার জন্য ক্ষুধার্ত হওয়া আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ক্ষুধার্ত হতে থাকুন, তৃপ্ত হবেন না। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে উপায় খোঁজা চালিয়ে যান এবং সেখানেই আপনি আরও কিছু অর্জন করতে পারবেন। ক্রমাগত নিজেকে জিজ্ঞাসা করুন জীবনে চলতে নতুন কী দক্ষতার প্রয়োজন হবে। আপনার শিক্ষার সবচেয়ে বড় সুবিধা শুধুমাত্র আপনি যা শিখেছেন তা নয়, কীভাবে শিখতে হয় তা জানার মধ্যেও রয়েছে।

আরও পড়ুন: আজ শুধু জ্ঞানের আরাধনা

সভাপতির বক্তব্যে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, বাংলাদেশ সরকার উচ্চশিক্ষার মাধ্যমে দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়। তাই আমি আধুনিক ও বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতিতে পাঠদানের মাধ্যমে একটি প্রগতিশীল সমাজ গড়ে তোলার জন্য পোর্ট সিটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিকে ধন্যবাদ জানাই। আজকে সমাবর্তনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা একটি পরিবর্তিত বাংলাদেশে তাদের কর্মজীবন শুরু করতে যাচ্ছে। আজকের শিক্ষার্থীরাই আগামীতে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিবেন। বঙ্গবন্ধুকন্যার নেতৃত্বে যে বৈপ্লবিক পরিবর্তন দেশে হয়েছে তার সবচেয়ে বড় সুফল ভোগ করতে যাচ্ছেন আপনারা। বঙ্গবন্ধুকন্যার ডিজিটাল বাংলাদেশ আপনাদের নেতৃত্বে স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত হবে।

ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক আসমা ইয়াসমিন এবং ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষক রাইসুল ইসমাইল আপনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন পানিসম্পদ উপমন্ত্রী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা একেএম এনামুল হক শামীম, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) প্রফেসর ড. দিল আফরোজ বেগম, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নূরল আনোয়ার ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজ চেয়ারম্যান তাহমিনা খাতুন।

এদিকে দ্বিতীয় সমাবর্তনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০টি একাডেমিক বিভাগের ১৩টি প্রোগ্রামের ৫ হাজার ৬৪৯ জন স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হওয়া শিক্ষার্থীকে ডিগ্রি দেওয়া হয়। এর মধ্যে ১ হাজার ৫১৭ জন শিক্ষার্থী সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সরাসরি অংশ নেন।

এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪ জন শিক্ষার্থীকে চ্যান্সেলর গোল্ড মেডেল ও ১৩ জন শিক্ষার্থীকে ফাউন্ডার গোল্ড মেডেল দেওয়া হয়। এদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগ থেকে চ্যান্সেলর গোল্ড মেডেল অর্জন করেন ফারজানা আক্তার ও সামিরা আলিম। একই বিভাগ থেকে ফাউন্ডার গোল্ড মেডেল অর্জন করেন তৌহিদুল ইসলাম আবির।

অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সাফল্য ও একাডেমিক কর্মকাণ্ড নিয়ে প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।

জেএন/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!