জেলা পরিষদ সদস্য খুনের ছকে মেয়র—চেয়ারম্যানসহ ৬ লোক

মহেশখালীর খাইরুল আমিন সিকদার (২৮) হত্যার ৩১ বছর পর সাবেক মেয়রসহ ৬ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। তবে খালাস পেয়েছেন ২০ আসামি।

বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আব্দুল্লাহ আল মামুন এ রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- মহেশখালীর সাবেক মেয়র সরওয়ার আজম, তাঁর দুভাই মৌলভি জহির উদ্দিন ও নাসির উদ্দিন এবং সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শামসুল আলম ও সাধন। রায় ঘোষণার সময় সাধন ছাড়া বাকি ৫ জন উপস্থিত ছিলেন।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) সুলতানুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গত ১০ নভেম্বর যুক্তিতর্ক শেষে ২৪ নভেম্বর রায় ঘোষণার তারিখ নির্ধারণ করেন আদালত। তবে সপ্তমবারের মতো রায় পিছিয়ে আজ (বৃহস্পতিবার) নির্ধারিত দিন ছিল। রায়ে ২৬ আসামির মধ্যে ৬ জনকে যাবজ্জীবন এবং বাকি ২০ জনকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে কিশোরকে পিটিয়ে খুনের ২৩ বছর পর খুনির জেল

এপিপি আরও বলেন, মামলা চলাকালীন সাত আসামি মারা যান। তারা হলেন- মহেশখালীর সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান নুর বক্স, স্থানীয় বাসিন্দা রহিম সিকদার, আমির হোসেন ও আজিজুল হক। এদিকে মামলার দুই আসামি জহির উদ্দিন ও মো. ইব্রাহিম আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ১৯৯০ সালের ৯ এপ্রিল বিকেল ৫টার দিকে মহেশখালীর গোরকঘাটা বাজারে দুর্বৃত্তরা গুলি করে খুন করেন তৎকালীন জেলা পরিষদ সদস্য ও তরুণ রাজনীতিবিদ খাইরুল আমিন সিকদারকে (২৮)। তিনি গোরকঘাটার হামজা মিয়া সিকদারের ছেলে।

ঘটনার পর একইদিন নিহতের বড় ভাই মাহমুদুল করিম বাদী হয়ে মহেশখালী থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় মহেশখালীর সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান নুর বক্স, পুটিবিলার শামশুল আলম, নাসির উদ্দিন, হামিদুল হকসহ ২৫ জন আসামি করা হয়।

এরপর পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ঘটনার তদন্ত করে এজাহারভুক্ত ২৫ জনসহ ২৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন একই বছরের ২২ নভেম্বর। ২০০৩ সালের ২৭ জুলাই আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত।

বিডি/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!