২৪ বছর আগে চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরীকে হত্যা করা হয় রাজধানীর বনানীতে ট্রাম্পস ক্লাবের নিচে। সেই হত্যা মামলার পলাতক ও চার্জশিটভুক্ত এক নম্বর আসামি আশিষ রায় চৌধুরী ওরফে বোতল চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) রাতে রাজধানীর গুলশানের ২৫/বি ফিরোজা গার্ডেন নামের একটি বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এদিকে দীর্ঘদিন পর বাবার খুনি গ্রেপ্তার হলেও এ নিয়ে সন্তানরা গণমাধ্যমে কথা বলেননি। তবে কন্যা লামিয়া চৌধুরী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘ভালো আছি ভালো থেকো/আকাশের ঠিকানায় চিঠি লিখ’।
এদিকে প্রয়াতের ছেলে শাফায়েত চৌধুরীও নিশ্চুপ। এ বিষয়ে তার কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
সোনালি যুগের তারকা দম্পতি সোহেল চৌধুরী ও পারভীন সুলতানা দিতি। তাদের দুই সন্তান। বড় মেয়ে লামিয়া চৌধুরী, ছোট ছেলে শাফায়েত চৌধুরী। মেয়ে ঢাকায় থাকেন। শাফায়েত নেদারল্যান্ডসের রিয়ারসন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন। বর্তমানে সেখানে বসবাস করছেন। সেখানেই করেছেন বিয়ে।
আরও পড়ুন: চেম্বারে ঝুলছিল চিকিৎসকের লাশ, বাড়িছাড়া করতেই খুন—বললেন স্ত্রী
১৯৯৮ সালের ১৭ ডিসেম্বর রাজধানীর বনানীতে ট্রাম্পস ক্লাবের নিচে সোহেল চৌধুরীকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় তার ভাই তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী গুলশান থানায় মামলা করেন। সোহেল চৌধুরী নিহত হওয়ার পরপরই এই হত্যাকাণ্ডে চলচ্চিত্র প্রযোজক ও ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের সম্পৃক্ততার অভিযোগ ওঠে।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, হত্যাকাণ্ডের কয়েক মাস আগে আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের সঙ্গে সোহেল চৌধুরীর কথা কাটাকাটি হয়। এর প্রতিশোধ নিতে সোহেল চৌধুরীকে হত্যা করা হয়।
ঘটনার রাতে সোহেল তার বন্ধুদের নিয়ে ট্রাম্পস ক্লাবে ঢোকার চেষ্টা করেন। এ সময় ভেতরে ঢুকতে তাকে বাধা দেওয়া হয়।
রাত আড়াইটার দিকে আবারও তিনি ঢোকার চেষ্টা করেন। তখন সোহেলকে লক্ষ্য করে ইমন, মামুন, লিটন, ফারুক ও আদনান গুলি চালান।
উল্লেখ্য আসামিদের মধ্যে আদনান খুনের পরপরই ধরা পড়েছিলেন।