চিকিৎসার আড়ালে নারী রোগীর শ্লীলতাহানি করেন পল্লী ডাক্তার জাহিদুল

হাটহাজারীতে নারী রোগীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে এক পল্লী চিকিৎসককে মারধর করছে ভুক্তভোগীর স্বজনেররা। উপজেলার মনিয়া পুকুর পাড় এনায়েতপুর বাজার এলাকায় ঘটে যাওয়া ঘটনার সমাধানে ডাকা বৈঠকেও হাজির হননি অভিযুক্ত পল্লী চিকিৎসক মো. জাহিদুল আলম (৪০)।

জাহিদুল আলম এনায়েতপুর বাজারে এসএম মেডিকেল নামে একটি ফার্মেসিতে পল্লী চিকিৎসক হিসেবে চিকিৎসা করেন।

অভিযোগ রয়েছে, মো. জাহিদুল আলম বিভিন্ন সময় চিকিৎসার জন্য আসা নারীদের শ্লীলতাহানি করেন। এ নিয়ে একাধিকবার বিভিন্ন সালিশ হলে জাহিদ টাকা ও কৌশলে তা ধামাচাপা দেন।

জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (৯ জুন) সকাল ১০টার দিকে মুনিয়া পুকুর পাড় এলাকার মানসিকভাবে অসুস্থ বিবাহিত এক নারীকে শ্লীলতাহানি করেন। বিষয়টি জানতে পেরে ওই নারীর স্বজনেররা জাহিদকে মারধর করেন। ঘটনা ধামাচাপা দিতে অভিযুক্ত জাহিদ নানা তদবির ও হত্যার হুমকি দেন বলে অভিযোগ করেন নারীর স্বজনেরা।

আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে এবার সিগারেট ‘মজুদকাণ্ড’ অসাধু ব্যবসায়ীদের

পরে ওই নারীর স্বজনের অভিযোগের ভিত্তিতে বিষয়টি সমাধানে বাজার কমিটি রাত ৯টায় বৈঠক ডাকেন। তবে সেই বৈঠকে পল্লী চিকিৎসক জাহিদুল উপস্থিত না হলেও ফার্মেসি মালিক মো. জাহিদ উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে জাহিদকে পরদিন শুক্রবার (১০ জুন) সকাল ১০টায় আবারো সময় দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বৈঠকে উপস্থিত থাকা এক ব্যক্তি বলেন, অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য বাদি-বিবাদি উভয়ের উপস্থিতি দরকার। আমরা অভিযুক্ত জাহিদকে বৈঠকে আসতে বলেছিলাম। কিন্তু তিনি আসেননি। তবে তিনি অতীতে এই ধরনের আরো ঘটনা ঘটিয়েছিলে। প্রত্যেকবার তিনি ধামাচাপা দিয়েছিলেন।

শ্লীলতাহানির স্বীকার নারীর পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জাহিদ চিকিৎসার সূত্রে দীর্ঘদিন ধরে তাদের ঘরে আসা-যাওয়া করত। আজকে সুযোগ পেয়ে সে তার বোনকে শ্লীলতাহানি করে। এ বিষয়ে সমাধানের জন্য বাজার কমিটিতে বৈঠক ডাকা হয়েছে। সে অতীতে বহু নারীর সাথে কুকর্ম করেছে।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত পল্লী চিকিৎসক জাহিদের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাকে মারধরের ঘটনায় আমার ভাই বাদি হয়ে হাটহাজারী মডেল থানায় একটি অভিযোগ করেছেন। নারী শ্লীলতাহানি ও অভিযোগের ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে চাইলে তিনি কথা বলতে অপরাগ বলে জানান।

সিএম/এসআই

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!