চাকরির ফাঁদে ফেলে টাকা মেরে শিক্ষিকা লুকিয়ে ছিলেন ঢাকায়

ক্যান্টেনমেন্ট পাবলিক স্কুলের সহকারী শিক্ষক ছিলেন ইয়াসমিনা হক (৪৫)। সেই সুবাদে বিভিন্ন উচ্চপদস্থ ব্যক্তির সঙ্গে পরিচয় রয়েছে তাঁর। তাদের পরিচয় দিয়ে সরকারি-বেসরকারি চাকরি প্রলোভনে বিভিন্ন চাকরি প্রত্যাশীদের কাছ থেকে হাতিয়ে নেন বিশাল অঙ্কের টাকা। বিপরীতে তাদের প্রত্যেককে চেক দেন তিনি। একপর্যায়ে চাকরি দিতে ব্যর্থ হয়ে হঠাৎ আত্মগোপনে চলে যান। বন্ধ করে রাখেন মুঠোফোনের নম্বর।

পরে ভুক্তভোগীরা প্রতারিত হওয়ার বিষয়টি বুঝতে পেরে আদালতে মামলা করেন। এমন নয়টি মামলায় দীর্ঘদিন পালিয়ে থাকার পর অবশেষে সেই ইয়াসমিনা হককে গ্রেপ্তার করেছে বায়েজিদ থানা পুলিশ।

রোববার (১৮ জুন) রাতে রাজধানী ঢাকার শাহজাহানপুর থানা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ (সোমবার) আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

আরও পড়ুন: চাকরির লোভ দেখিয়ে টাকা মেরে দেওয়া ‘মন্ত্রীর পিএ’ কাউন্টার টেরোরিজমের জালে

ইয়াসমিনা হক নগরের বায়েজিদ লিংক রোড এলাকার জান্নাতুল হকের মেয়ে।

যোগাযোগ করা হলে এসব তথ্য নিশ্চিত করে বায়েজিদ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রাজিব পাল আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, চাকরি দেওয়ার কথা বলে বিভিন্ন লোক থেকে বিভিন্ন অঙ্কের টাকা গ্রহণ করেন ইয়াসমিনা হক। এর বিপরীতে তিনি সবাইকে চেক দেন। পরে প্রতারণার অভিযোগে নয়জন ভুক্তভোগী তার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করলে তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। গ্রেপ্তার এড়াতে তিনি ঢাকায় গিয়ে আত্মগোপন করেন। বন্ধ করে দেন তাঁর ব্যবহৃত সিম। পরে তাঁর মোবাইলের আইইএমই নম্বরের সূত্র ধরে ঢাকার শাহজাহানপুর থানা এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এনইউএস/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!