চট্টগ্রাম বন্দরে ধ্বংস করা হলো ১১ কনটেইনার মাছ সুপারি জুস খেজুর

চট্টগ্রামে আমদানির পরও খালাস না হওয়া মেয়াদোত্তীর্ণ ৭৩ কনটেইনার পণ্য ধ্বংসের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সোমবার (১৪ নভেম্বর) প্রথম দিনেই ১১ কনটেইনার পণ্য ধ্বংস করেছে চট্টগ্রাম কাস্টমস।

নগরের হালিশহর থানার আনন্দবাজার এলাকায় বেলা সাড়ে ১২টা থেকে পণ্য ধ্বংসের কাজ শুরু হয়।

বন্দর সূত্রে জানা যায়, বাজারদর ব্যাপকভাবে কমে গেলে অনেক ব্যবসায়ী আমদানির পর বন্দর থেকে পণ্য খালাস করেন না। এছাড়া মামলা বা শুল্কায়নের হারসহ নানা কারণে সময়মতো পণ্য ছাড় বা নিলাম সম্ভব হয়ে উঠে না। তাই এসব পণ্য বন্দরে বছরের পর বছর পড়ে থাকার পর মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে যায়।

আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম বন্দরের ৭৩ কনটেইনার আমদানি পণ্য ধ্বংস হবে ১৪ নভেম্বর

পরে কমিটির মাধ্যমে এসব পণ্য ধ্বংস করে কনটেইনার খালি করে শিপিং এজেন্টকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ৭৩ কনটেইনার মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য ধ্বংসের প্রক্রিয়া শুরু করেছে চট্টগ্রাম কাস্টমস। আজ প্রথম দিন ধ্বংস করা হয়েছে ১১ কনটেইনার পণ্য। এসব পণ্যের মধ্যে ছিল- মাছ, সুপারি, জুস ও খেজুর। এছাড়া আরও ৬২ কনটেইনার পণ্য ধ্বংস করা হবে।

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের ডেপুটি কমিশনার মু. মাহফুজ আলম আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, মেয়াদোত্তীর্ণ ৭৩ কনটেইনার পণ্য ধ্বংসের প্রথম দিন আজ ১১ কনটেইনার পণ্য ধ্বংস করা হয়েছে। প্রতিদিন ১৫ থেকে ২০ কনটেইনার পণ্য ধ্বংসের মাধ্যমে এ প্রক্রিয়া শেষ করা হবে। এছাড়া বন্দরে দীর্ঘদিন ধরে পড়ে থাকা আরও কনটেইনার যাচাই-বাছাইয়ের প্রক্রিয়া চলছে।

জেএন/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!