চট্টগ্রামে করোনা শনাক্তের হার আরও বেড়েছে। এবার জেলায় একদিনেই করোনা শনাক্ত হয়েছে ৩৪ শতাংশ নমুনায়। জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল ল্যাবে ৮২ শতাংশ নমুনায় মিলেছে করোনা!
সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামের ১ হাজার ২৩২ নমুনা পরীক্ষায় ৪২১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তদের মধ্যে ২৮৪ জন নগরের এবং ১৩৭ জন বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা।
একইসময়ে ৪ জন করোনা রোগী মারা গেছেন। এদের মধ্যে ২ জন নগরের এবং ২ জন উপজেলার।
চট্টগ্রামে এ নিয়ে মৃত্যু হয়েছে ৭১০ জন করোনা আক্রান্ত রোগীর। অন্যদিকে এখন পর্যন্ত চট্টগ্রামের মোট ৫৯ হাজার ৭৩৭ নমুনায় করোনা শনাক্ত হয়েছে।
শুক্রবার (২ জুলাই) চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
সিভিল সার্জন কার্যালয় জানায়, আগের ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামের বিআইটিআইডি ল্যাবে ৩৪৬ নমুনা পরীক্ষায় ১২৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ৮৮ নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয় ৪৪ জনের।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে পরীক্ষা করা হয় ১৮৮টি নমুনা। এতে করোনা শনাক্ত হয় ৬৯ জনের।
এছাড়া চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ১৩৭ নমুনা পরীক্ষায় ৩৪ জন, ইমপেরিয়াল হাসপাতাল ল্যাবে ১৬০ নমুনা পরীক্ষায় ৪৯ জন, শেভরন ল্যাবে ১২২ নমুনা পরীক্ষায় ১৪ জন, চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল ল্যাবে ৪১ নমুনা পরীক্ষায় ২১ জন, জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল ল্যাবে ২৩ নমুনা পরীক্ষায় ১৯ জন, মেডিকেল সেন্টারে ৬৪ নমুনা পরীক্ষায় ১৫ জন এবং এপিক হেলথ কেয়ারে ৩৯ নমুনা পরীক্ষায় ২৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়।
এর বাইরে অ্যান্টিজেন টেস্টে ২৪ নমুনা পরীক্ষায় ৭ জনের শরীরে করোনা মিলেছে।
সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে করোনা শনাক্তদের মধ্যে লোহাগাড়ার ২ জন, সাতকানিয়ার ২ জন, বাঁশখালীর ১ জন, আনোয়ারার ৮ জন, চন্দনাইশের ১ জন, পটিয়ার ৩ জন, রাঙ্গুনিয়ার ৬ জন, রাউজানের ১৫ জন, হাটহাজারীর ১৬ জন, ফটিকছড়ির ১৪ জন, মিরসরাইয়ের ৩০ জন, সন্দ্বীপের ৩ জন এবং সীতাকুণ্ডের বাসিন্দা রয়েছেন ৩৬ জন।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা শনাক্তের খবর জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় দেশে এখন লকডাউন চলছে।
জেডএইচ