চট্টগ্রামে রঙের খেলা

কারো পরনে সাদা পাঞ্জাবি—সাদা টি-শার্ট, কারো পরনে শাড়ি। মুখ থেকে শুরু করে সারা শরীর রঙিন নানা রঙে। এভাবেই সবাই মেতে উঠেছেন হোলি উৎসবে। যে উৎসবে শিশু-কিশোর-তরুণ-তরুণী থেকে রয়েছেন বৃদ্ধরাও!

বুধবার (২৭ মার্চ) সকাল ৯টা থেকে নগরের কাপাসগোলা স্কুলের মাঠে দেখা যায় হোলি উৎসবের এমন চিত্র। বর্ণিল এ আয়োজনের উদ্যোক্তা সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর রুমকি সেনগুপ্ত।

শাস্ত্রমতে, ফাল্গুন মাসের পূর্ণিমা তিথিতে বৃন্দাবনে শ্রীকৃষ্ণ আবির নিয়ে রাধা ও তার সখীদের সঙ্গে রং খেলায় মেতে উঠেছিলেন। এই আবির খেলার তিথিটিকে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা দোল বা হোলি উৎসব হিসেবে পালন করেন। দোলযাত্রার দিন রাধা-কৃষ্ণের বিগ্রহ আবিরে রাঙিয়ে দোলায় চড়িয়ে নগর কীর্তনে বের হন সনাতনীরা। এ সময় তারা রং খেলার আনন্দে মেতে ওঠেন।

আরও পড়ুন : ৩ উৎসব ঘিরে রঙে রঙিন চট্টগ্রাম

দোল উৎসবের অনুষঙ্গে ফাল্গুনী পূর্ণিমাকে দোলপূর্ণিমা বলা হয়। আবার এ পূর্ণিমা তিথিতেই চৈতন্য মহাপ্রভুর জন্ম বলে একে গৌরপূর্ণিমা নামেও অভিহিত করা হয়।

কাপাসগোলা স্কুল গেটে প্রবেশ করতেই কানে ভেসে আসছে গান। ভেতরে ঢুকতেই লোকে লোকারণ্য মাঠ। সাউন্ড বক্সে চলছে গান। এসময় গায়ে-মুখে বাহারি রঙ মেখে গানের তালে তালে সবাই মাতোয়ারা উৎসবে। তরুণ-তরুণীরা হাতে বাহারি রঙ ছিটিয়ে একে অন্যকে জানায় হ্যাপি হোলির শুভেচ্ছা। এছাড়া হোলি উৎসব স্মৃতির পাতায় ধরে রাখতে মোবাইল ক্যামেরায় ছবি ও সেলফিতে মেতে উঠেন তরুণ-তরুণীরা।

উৎসবে অংশ নেওয়া গৃহিণী শিল্পী চৌধুরী বলেন, সারাবছর এ উৎসবের জন্য মুখিয়ে থাকি। পরিবার, আত্মীয়স্বজন, বন্ধু-বান্ধবীদের সঙ্গে হোলি উৎসবে মেতে উঠলাম। আজকের দিনে ভুলে যাই সব ভেদাভেদ, দুঃখ ও ক্লান্তি।

সজিব নামে এক কিশোর বলেন, আজ খুব মজা করছি বন্ধুদের সঙ্গে। সাদা টি-শার্টসহ রঙ কিনেছি। একে অন্যের মুখে রঙ দিচ্ছি।

আয়োজক কাউন্সিলর রুমকি সেনগুপ্ত বলেন, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব দোলপূর্ণিমা। এ উৎসব দোলযাত্রা ও হোলি উৎসব নামেও পরিচিত। হোলি মানেই রঙের খেলা। ছোট-বড় সবার কাছে এ উৎসব রঙিন ও আনন্দময়। এদিন হিংসা, বিদ্বেষ ও ভেদাভেদ ভুলে একে অপরকে রাঙিয়ে দেন আবিরের রঙে।আগামী বছর এ উৎসব আরও বড় পরিসরে করার পরিকল্পনা আছে।

আরবি/আলোকিত চট্টগ্রাম

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!