চট্টগ্রামে যে কারণে এজলাসের সামনে নারীর নাক ফাটিয়ে দিলেন আইনজীবী

চট্টগ্রামে বিচারকের আদেশে এজলাসের সামনে আইনজীবীর সঙ্গে কথা চলছিল বিচারপ্রার্থীদের। এসময় হঠাৎ এক নারী এসে উভয়ের মধ্যে মধ্যস্থতা করার চেষ্টা করেন। তখন সেই নারীর পরিচয় জানতে চান আইনজীবী। ওই নারী নিজেকে মানবাধিকার কর্মী পরিচয় দেন।

এরপর আইনজীবী ওই নারীকে সেখান থেকে সরে যেতে বলেন। কিন্তু সেই নারী কথা না শুনে আইনজীবীর সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়ান। একপর্যায়ে আইনজীবীর গাউন ধরে টানাটানি শুরু করেন। এসময় আইনজীবী ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন। একর্যায়ে মেরে ওই নারীর নাক ফাটিয়ে দেন। এরপর মাটিতে লুটিয়ে পড়েন ওই নারী।

বুধবার (২০ মার্চ) বেলা ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে চট্টগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর এজলাসের সামনে। পরে বিষয়টি সমাধানের জন্য চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতিকে নির্দেশ দেন চট্টগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক।

আরও পড়ুন : চট্টগ্রামে আইনজীবীকে খুন করে লুকিয়ে থাকা স্ত্রী র‌্যাবের জালে

নারীকে মারধরের অভিযোগ উঠা সেই আইনজীবী হলেন আতাউর রহমান। তিনি আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, চট্টগ্রাম আদালত ভবনে যেকেউ মানবাধিকার কর্মী পরিচয়ে যা তা করবে সেটি হতে পারে না। ওই নারী আমার মক্কেল কিংবা আমার পরিচিত কেউ নন। কিন্তু আদালতের নির্দেশে বিচারপ্রার্থীদের সঙ্গে এজলাসের বাইরে কথা বলার সময় তিনি নিজেকে মানবাধিকার কর্মী পরিচয় দিয়ে জাহির করার চেষ্টা করছিলেন। পরে আমার কোর্ট ও গাউন ধরে টানাটানি শুরু করেন।

তিনি বলেন, আদালত প্রাঙ্গণে বিভিন্ন আইডিকার্ডধারী ব্যক্তিরা বিচারপ্রার্থীদের সঙ্গে প্রতিনিয়ত নানাভাবে প্রতারণা করছেন। যার কারণে বিচারপ্রার্থীরা আর্থিকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন।

যোগাযোগ করা হলে চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাড. নাজিম উদ্দিন আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, আইনজীবীর কোট-গাউন ধরে টানাটানির কারণে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। ওই নারীকে জেলা আইনজীবী সমিতির কার্যালয়ে এনে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, ওই নারীর মানবাধিকার কর্মী পরিচয় নিশ্চিতে সিনিয়র আইনজীবী সুনীল সরকারের সহযোগিতা নিয়েছি। তিনি সন্দ্বীপের বাসিন্দা বলে জানতে পেরেছি। এর বাইরে নাম-ঠিকানা কিছু জানা যায়নি। পরে এ ঘটনায় উভয়ের মধ্যে মীমাংসা হয়েছে।

আরএস/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!