চট্টগ্রামে মিধিলির বৃষ্টিতে পানিতে থৈ থৈ, আশ্রয়কেন্দ্রে নিতে মাইকিং

ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলির প্রভাবে চট্টগ্রাম নগরে রাতভর বৃষ্টিতে বিভিন্ন রাস্তা-অলিগলিতে জমেছে পানি। এতে চলাচলে ভোগান্তিতে পড়েছে এলাকার সাধারণ মানুষ।

এর আগে গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে গত বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) সকাল থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়। যা রাতভর অব্যাহত থাকে।

এদিকে শীতের সঙ্গে হঠাৎ বৈরী আবহাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন খেটে-খাওয়া মানুষ। আজ সকাল থেকে রাস্তায় গণপরিবহনের সংখ্যা ছিল কম। এছাড়া সাধারণ মানুষেরও চলাচল তুলনামূলক কম ছিল।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর ও চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

আরও পড়ুন : চট্টগ্রামে অবিরাম বৃষ্টি, যেখানে-যেভাবে আছে ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’

এদিকে ঘুর্ণিঝড় মিধিলি মোকাবেলায় খোলা হয়েছে আশ্রয়কেন্দ্র। পাহাড়ধসের শঙ্কা থাকায় ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হচ্ছে। আকবরশাহ এক, দুই ও তিন নম্বর ঝিল ও বিজয়নগর এলাকায় মাইকিং করতে দেখে গেছে জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন টিমকে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মো. ফখরুজ্জামান আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, উপকূলবর্তী ও পাহাড়ি এলাকায় মানুষকে সচেতন করতে মাইকিং করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, জরুরি সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান বিশেষ করে হাসপাতাল, বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানি ও সিটি করপোরেশনের কন্ট্রোল রুম খোলা, উপজেলা পর্যায়ে দ্রুত দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি সভা আয়োজন, স্ব স্ব এসওপি অনুযায়ী সকল দপ্তরের কার্যক্রম গ্রহণ, বিভিন্ন এনজিও, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, গণমাধ্যমকে দুর্যোগ মোকাবেলায় অংশগ্রহণেরর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷

তিনি আরও বলেন, বিদ্যমান ৬০৯ টি (মহানগর ১১৬টি ও জেলা ৪৯৩ টি) আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পাশাপাশি শুকনো খাবারসহ প্রয়োজনীয় ওষুধের ব্যবস্থা করা হয়েছে। দুর্যোগ মোকাবেলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

এআইটি/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!