চট্টগ্রামে বিস্ফোরণ : যা বলছে ফায়ার সার্ভিস

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে লাগা আগুন এখনো পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। রোববার (৫ জুন) বেলা ১১টা পর্যন্ত আগুনে ৫ ফায়ার ফাইটারসহ ২৮ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন দুই শতাধিক।

রোববার সকাল ১০টার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর চট্টগ্রামের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাইন উদ্দিন। তিনি উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলেন।

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাইন উদ্দিন বলেন, আগুন লাগার খবর পাওয়ার পর রাত থেকে আমরা এখানে কাজ করছি। লাশের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

এ সময় তিনি অভিযোগ করে বলেন, অগ্নিকাণ্ডের পর থেকে মালিকপক্ষের কাউকে পাচ্ছি না। মালিকদের কাউকে পেলে আমরা জানতে পারতাম কোন কনটেইনারে কী আছে। এটা আমাদের জানা নেই। এজন্য উদ্ধার কাজে আমাদের বেগ পেতে হচ্ছে।

মহাপরিচালক বলেন, আমরা এখনো ভেতরে পুরোপুরি ঘুরতে পারছি না। এ ঘটনায় ফায়ারের পক্ষ থেকে ৫ সদস্যের কমিটি করা হয়েছে। সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ার সেকশনের বিশেষ টিম কাজ করছে। কনটেইনারগুলোতে যেহেতু কেমিক্যাল সেজন্য ঢাকা থেকে ফায়ারের ২০ সদস্যের হেজবোর্ড টিম আনা হচ্ছে। তারা বিদেশ থেকে বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত।

আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বিস্ফোরণে ফায়ার সার্ভিসের ৫ কর্মীসহ নিহত বেড়ে ২৮, থামছে না আগুন

ফায়ার ফাইটারসহ যারা হতাহত হয়েছেন তাদের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে মহাপরিচালক বলেন, আমি মাত্র দশদিন আগে এখানে দায়িত্ব নিয়েছি। এরকম একটি ঘটনায় আমি খুবই মর্মাহত।

আগুন নেভাতে গিয়ে ৫ ফায়ার ফাইটার নিহত হয়েছেন জানিয়ে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাইন উদ্দিন বলেন, আমার ৫ সহকর্মী নিহত হয়েছেন। আরও ২১ জন আহতে হয়েছেন। এর মধ্যে ১৫ জন সিএমএইচ এ ভর্তি। বাকী ৬ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

আগুন নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা করে যাচ্ছেন জানিয়ে তিনি বলেন, আগুন এখনো পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। তবে আমরা আয়ত্বের মধ্যে রাখতে পেরেছি। এখন পর্যন্ত কতজন নিখোঁজ তার কোনো তথ্য বা ধারণা আমার কাছে নাই। এখনো বিস্ফোরণ হচ্ছে, যার জন্য সময় নিচ্ছি। কাছে যেতে পারছি না। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফোমও ব্যবহার করেছি। কিন্তু কাজ হচ্ছে না।

আগুন লাগার কারণ এখনো বলতে পারছেন না জানিয়ে তিনি বলেন, এ ঘটনায় গঠিত কমিটি তিন কার্যদিবসের মধ্যে রিপোর্ট দেবে। এখন পর্যন্ত চট্টগ্রাম, ফেনী, কুমিল্লা, খাগড়াছড়ির মোট ২৫ ইউনিট কাজ করছে। সেনাবাহিনীর সদস্যরাও আমাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন।

এসআই/আলোকিত চট্টগ্রাম

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!