চট্টগ্রামে ট্রাফিক সার্জেন্ট বেচে ‘চোরাই গাড়ি’, দেন ক্রসফায়ারের হুলিয়াও

প্রতারণা করে গাড়ি বিক্রি ও টাকা ফেরত চাওয়ায় প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগে মোস্তাফিজুর রহমান নামে এক ট্রাফিক সার্জেন্টের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন একজন ভুক্তভোগী।

রোববার (১৩ আগস্ট) চট্টগ্রাম ষষ্ঠ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাজী শরিফুল ইসলামের আদালতে এ মামলা করা হয়।

এদিকে আদালত আগামী এক মাসের মধ্যে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে আদেশ দিয়েছেন।

অভিযুক্ত মোস্তাফিজুর রহমান( ৩৮) চাঁন্দপুরের ফরিদগঞ্জ থানার পাইকপাড় পাটোয়ারী বাড়ির মহিউদ্দিন পাটোয়ারির ছেলে। তিনি বর্তমানে সদরঘাট উপপুলিশ কমিশনারের কার্যালয়, চট্টগ্রাম ট্রাফিক (দক্ষিণ) বিভাগের সার্জেন্ট হিসেবে কর্মরত। নগরের চান্দগাঁও আবাসিকের বি-ব্লকের ৯ নম্বর রোডের একটি ভবনে তিনি বসবাস করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীপক্ষের আইনজীবী জুয়েল দাশ।

আরও পড়ুন: প্রবাসীর কোটি টাকার জায়গা দখলে মরিয়া সিন্ডিকেট, ‘নেপথ্যে’ সিএমপির ট্রাফিক সার্জেন্ট

মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বিক্রয় ডট কমে একটি অটোরিকশা বিক্রির বিজ্ঞাপন দেখে সার্জেন্ট মোস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করেন আব্দুল্লাহ আল মামুন। গাড়ির প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এক মাসের মধ্যে প্রথম পক্ষ মো. রুবেল থেকে ক্রেতার (মামুন) নামে করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। এরপর চলতি বছরের ১ মে ৬ লাখ ৩০ হাজার টাকায় গাড়ি কিনেন মামুন।

এসময় সার্জেন্ট মোস্তাফিজ মামুনকে বলেন, আমি একজন ট্রাফিক সার্জেন্ট হয়ে কখনো আপনাকে জালিয়াতমূলক ডকুমেন্ট কিংবা চোরাই গাড়ি দিব না। আপনি আমার ওপর আস্থা রাখতে পারেন।

পরে ১৪ মে গাড়ির মালিকানার নাম পরিবর্তনের জন্য বলে তিনি আরও এক লাখ টাকা দাবি করেন। যা চেকের মাধ্যমে লেনদেন হয়। এরপরও বেশ কয়েক মাস পেরিয়ে গেলেও বিষয়টির কোনো সুরাহা করেননি সার্জেন্ট মোস্তাফিজ।

এরপর ২০ জুলাই বিআরটিএ’তে গাড়ির টেক্স টোকেন আপডেট করাতে গেলে গাড়ির কাগজপত্র রুবেলের নামে থাকলেও সেখানে মালিকের নাম মিন্টু হাওলাদার দেখতে পান মামুন। বিষয়টি সার্জেন্ট মোস্তাফিজকে জানালে তিনি দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দেন। কিন্তু সেই আশ্বাসের পরও তিনি কালক্ষেপণ করতে থাকেন।

এছাড়া সার্জেন্ট মোস্তাফিজকে গাড়িটি পরিবর্তন করে দিতে বললে তাতেও তিনি রাজি হননি। এরপর গত ১০ আগস্ট গাড়ি কেনার টাকা ফেরত চাইলে সার্জেন্ট মোস্তাফিজ ক্রসফায়ারের হুমকি দেন মামুনকে।

এ ঘটনার পর নগরের চান্দগাঁও থানায় মামলা করতে গেলে থানা কর্তৃপক্ষ আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেন বলে অভিযোগ করেন বাদী আব্দুল্লাহ আল মামুন।

আরএস/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!