চট্টগ্রামে কোরবানির পশুর হাটে মানতে হবে ২১ নির্দেশনা

করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিবেচনায় রেখে নগরের কোরবানির পশুর হাটের ইজারাদার ও ক্রেতা-বিক্রেতাদের জন্য ২১টি নির্দেশনা দিয়েছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন।

সোমবার (১২ জুলাই) চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের রাজস্ব বিভাগের এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব নির্দেশনার কথা জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে হাটের ইজারাদারদের ১৬টি নিদের্শনা এবং ক্রেতা-বিক্রেতাদের পাঁচটি নির্দেশনা মানতে বলা হয়েছে।

এতে আরও বলা হয়, বাজারে সার্বক্ষণিকভাবে ভ্রাম্যমাণ আদালত চালু থাকবে। নির্দেশনা মানা না হলে তাৎক্ষণিকভাবে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ইজারাদারের করণীয়

(১) হাট বসানোর জন্য পর্যাপ্ত খোলা জায়গা নির্বাচন করতে হবে। কোনো অবস্থাতেই বদ্ধ জায়গায় হাট বসানো যাবে না।

(২) হাট বসানোর আগে ইজারাদারের মহামারি প্রতিরোধী সামগ্রী যেমন— মাস্ক, সাবান, জীবাণুমুক্তকরণ সামগ্রী ইত্যাদি সংগ্রহ করতে হবে। পরিষ্কার পানি সরবরাহ ও হাত ধোয়ার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে তরল সাবান/সাধারণ সাবানের ব্যবস্থা রাখতে হবে। নিরাপদ বর্জ্য নিষ্কাশন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।

(৩) পশুর হাটের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তা, কর্মচারী ও হাট কমিটির সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। হাট কমিটির সবার ব্যক্তিগত সুরক্ষা জোরদার করা এবং মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।

(৪) হাটের সঙ্গে জড়িত সব কর্মীদের স্বাস্থ্যবিধির নির্দেশনা দিতে হবে। জনস্বাস্থ্যসংশ্লিষ্ট বিষয়, যেমন— মাস্কের সঠিক ব্যবহার, হাঁচি-কাশির শিষ্টাচার, শারীরিক দূরত্ব, হাত ধোয়া, জীবাণুমুক্তকরণের মতো বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দিতে হবে। স্বাস্থ্যবিধিগুলো সার্বক্ষণিক মাইকে প্রচার করতে হবে।

(৫) পশুর হাটে প্রবেশের জন্য গেট (প্রবেশপথ ও বের হওয়ার পথ) নির্দিষ্ট করতে হবে।

(৬) পর্যাপ্ত পানি ও ব্লিচিং পাউডার দিয়ে পশুর বর্জ্য দ্রুত পরিষ্কার করতে হবে। কোথাও জলাবদ্ধতা তৈরি করা যাবে না।

(৭) একটি পশু থেকে আরেকটি পশু এমন দূরত্বে রাখতে হবে যেন ক্রেতারা কমপক্ষে ৩ (তিন) ফুট বা ২ (দুই) হাত দূরত্ব বজায় রেখে পশু কিনতে পারে।

(৮) ভিড় এড়াতে মূল্য পরিশোধ ও হাসিল আদায় কাউন্টারের সংখ্যা বাড়াতে হবে।

(৯) মূল্য পরিশোধের সময় সারিবদ্ধভাবে লাইনে দাঁড়ানোর সময়কাল যেন কম হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। লাইনে ৩ (তিন) ফুট বা কমপক্ষে ২ (দুই) হাত দূরত্ব বজায় রেখে দাঁড়াতে হবে। প্রয়োজনে রেখা টেনে বা গোল চিহ্ন দিয়ে দিতে হবে।

(১০) সব পশু একত্রে হাটে প্রবেশ না করিয়ে, হাটের ধারণক্ষমতা অনুযায়ী পশু প্রবেশ করাতে হবে।

(১১) হাটের ধারণক্ষমতা অনুযায়ী নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে কেনাকাটা করা সম্ভব এমন সংখ্যক ক্রেতাকে হাটে প্রবেশের সুযোগ দিতে হবে। অবশিষ্ট ক্রেতারা হাটের বাইরে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে অপেক্ষা করবেন। একটি পশু কেনার জন্য এক বা দুই জনের বেশি ক্রেতা হাটে প্রবেশ করবেন না।

(১২) অনলাইনে পশু কেনা-বেচার জন্য জনগণকে উৎসাহিত করা যেতে পারে।

(১৩) পশুর হাটে ইজারাদারদের নিজস্ব পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থাসহ স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ দিতে হবে।

(১৪) আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক কোনো সমস্যা দেখা দিলে স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে সমস্যা সমাধান করতে হবে।

(১৫) কোনোপ্রকার চাঁদা আদায় এবং ক্রেতা-বিক্রেতাকে হয়রানি করা যাবে না।

(১৬) জালনোট শনাক্তকরণ যন্ত্র স্থাপন করতে হবে।

ক্রেতা-বিক্রেতার করণীয়

(১) ক্রেতা-বিক্রেতা সবাইকে অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে।

(২) সর্দি, কাশি, জ্বর বা শ্বাসকষ্ট নিয়ে কেউ হাটে প্রবেশ করতে পারবেন না।

(৩) শিশু, বৃদ্ধ এবং অসুস্থরা হাটে আসতে পারবেন না।

(৪) পশুর হাটে ঢোকার আগে ও বের হওয়ার সময় তরল সাবান/সাধারণ সাবান এবং পানি দিয়ে হাত ধুতে হবে।

(৫) মূল্য পরিশোধ এবং হাটে ঢোকা ও বের হওয়ার সময় কমপক্ষে ৩ (তিন) ফুট বা ২ (দুই) হাত দূরত্ব বজায় রেখে সারিবদ্ধভাবে লাইনে দাঁড়াতে হবে।

জেডএইচ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!