চট্টগ্রামে এসআই’র পরকীয়া—বউকে খুন করে জেলে গেল পুলিশ স্বামী

পরকীয়া প্রেমে ধরা পড়ে স্ত্রীকে খুন করে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দিতে চেয়েছিলেন হালিশহর থানার সাবেক পুলিশ উপপরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমান জাবের। তবে শেষ রক্ষা হয়নি।

শ্বশুরের করা মামলায় এসআই মিজানুরের অবশেষে ঠাঁই হলো কারাগারে। এর আগে তাকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

বুধবার (১৫ জুন) চট্টগ্রাম মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট কাজী শরীফুল ইসলামের আদালত এ আদেশ দেন।

আরও পড়ুন: পরকীয়া—বিয়ের চাপে প্রেমিকাকে খুন করে প্রেমিক মাহিবুর

মিজানুর রহমান জাবেদ নোয়াখালীর সদর উপজেলার বিনোদপুরের মৃত আবুল কাশেমের ছেলে। স্ত্রী খুনের সময় তিনি হালিশহর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

নিহত ফাতেমা আক্তার কলি একই উপজেলার কাদির হানিফ ইউনিয়নের বাসিন্দা।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালে ফাতেমা আক্তার কলির সঙ্গে এসআই মিজানুরের বিয়ে হয়। হালিশহর থানায় চাকরির সময় শান্তিবাগ এলাকার একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন তারা দুজন। এসময়  পাশের এক নারীর সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পরেন মিজানুর। পরে তার স্ত্রী বিষয়টি জানার পর বিচ্ছেদের কথা বললে মিজানুর তাকে মারধর শুরু করেন।

চলতি বছরের ২৫ মার্চ বিকেলে কলিকে বেধড়ক মারধরে করে খুন করে মিজানুর। পরে চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে লাশ নিয়ে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেন। এসময় তার পরিবারকে ফোনে জানানো হয় কলি আত্মহত্যা করেছে। তখন কলির গলায় কালো দাগ ও হাতে আঘাতের চিহ্ন ছিল।

ঘটনার পর নিহত কলির বাবা আহসান উল্লাহ বাদী হয়ে এসআই মিজানুরসহ ৫ জনকে আসামি করে হালিশহর থানায় মামলা  করেন। এরপর থেকে মিজানুর পলাতক ছিলেন।

মঙ্গলবার (১৪ জুন) দুপুরে নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আজ  (বুধবার) তাকে আদালতে হাজির করা হয়।

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) মো. ওয়াহিদ উল্লাহ সরকার আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, পরকীয়ার জেরে স্ত্রীকে খুনের অভিযোগে করা মামলায় এসআই মিজানুর রহমান জাবেদকে হাজির করা হলে শুনানি শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।

আরএস/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!