চট্টগ্রামে এক এলাকার মানুষদের পথ চলতে হয় লাইনে দাঁড়িয়ে

মানুষের দীর্ঘ সারি। দূর থেকে দেখে মনে হতে পারে টিসিবির পণ্য কিংবা রমজানে দানের ইফতারসামগ্রী নিতে সবাই লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন। তবে কাছে গেলেই ভাঙবে ভুল। না টিসিবির পণ্য কিংবা দান নিতে কেউ লাইনে দাঁড়াননি। তারা সবাই পথচারী। এক পাশে ময়লার স্তূপ, আর এর পাশে কাদাপানির কারণেই তাদের এভাবে লাইনে দাঁড়িয়ে যাতায়ত করতে হচ্ছে।

নগরের পশ্চিম বাকলিয়া কে বি আমান আলী রোডের বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) সকালের চিত্র এটি। যন্ত্রণার এ চিত্র শুধু একদিনের নয়, প্রতিনিয়তই এমন ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে পথচারীসহ স্থানীয়দের।

সরেজমিন দেখা গেছে, চকবাজার কাঁচাবাজার, ধুনীরপুল থেকে রাহাত্তারপুল পর্যন্ত সড়কের বেশিরভাগ অংশে কাদা জমে আছে। এছাড়া ফুলতলার ব্রিজের সামনে খালপাড় সংলগ্ন রাস্তায় ময়লা-আবর্জনার স্তূপ। চলাচলের রাস্তায় বসেছে মাছবাজার।কাদার কারণে একপাশের সড়কে চলাচল করতে হচ্ছে পথচারীদের। এসময় জনজটও দেখা যায়। অনেকে আবার বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন।

আরও পড়ুন : একটু বৃষ্টিতেই জলে ভাসে বাকলিয়া, জনদুর্ভোগের সুযোগে ভাড়া হয় দ্বিগুণ

স্থানীয় সূত্র জানায়, ফুলতলা পুরাতন ব্রিজ ভাঙার কাজ চলছে। একইসঙ্গে চলছে খালের রিটার্নিং ওয়াল দেওয়ার কাজও। ফলে ধুনীর থেকে বন্ধ যান চলাচল। কিছুদূর গাড়িতে, আবার কিছুদূর পায়ে হেঁটে চলাচল করতে হচ্ছে। খালের মাটি নেওয়ার সময় পড়ে রাস্তায়। এসব থেকে ধুলোবালি ও কাদার সৃষ্টি হচ্ছে প্রতিনিয়ত। শুকালে ধুলোর যন্ত্রণা, আর বৃষ্টিতে কাদার দুর্ভোগ। বর্তমানে কাদার কারণে অবস্থা এমন খারাপ হয়ে গেছে যে হেঁটে চলাচল করারও কোনো উপায় নেই। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা সড়কের কাদা মাড়িয়ে স্কুল-কলেজে যাচ্ছে। হেঁটে যাওয়ার সময় কাদা ছিটকে পড়ে অনেকের পোশাক নষ্ট হচ্ছে। সড়কে কাদা জমায় ভোগান্তি পোহাচ্ছেন হাজারো মানুষ।

কয়েকজন পথচারী বলেন, চকবাজার থেকে রাহাত্তারপুল পর্যন্ত সড়কটি রোদে ধুলোবালির দাপট আর বৃষ্টিতে কাদায় একাকার হয়ে পড়ে। একেবারে অজপাড়াগাঁয়ের চেয়েও খারাপ অবস্থা। এছাড়া পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ব্যবস্থাও একেবারে ঢিলেঢালা। ময়লা-আবর্জনা জমে থাকায় নাক চেপে চলতে হচ্ছে।

কয়েকজন ব্যবসায়ী বলেন, দোকানের সামনে কাদা জমে থাকায় ক্রেতারা কেউ পণ্য কিনতে আসে না। দোকানের সামনে মানুষ পারাপারে জটলা লেগে আছে। রাস্তায় একপাশে ময়লা-আবর্জনা স্তূপ হয়ে পড়ে আছে কয়েকদিন ধরে। দুর্গন্ধে দোকানে বসতে পারছি না।

এসব বিষয়ে জানতে ১৭ নম্বর পশ্চিম বাকলিয়া ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. শহীদুল আলমের মুঠোফোনে একাধিকার ফোন করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।

আলোকিত চট্টগ্রাম

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!