চট্টগ্রামে আবার পাহাড়ধস—এবার কাড়ল ৪ প্রাণ, মা মরলেও বেঁচে গেল কোলের শিশু!

নগরের আকবরশাহ থানার ১ নম্বর ঝিল বরিশালঘোনা ও ফয়’স লেক লেকভিউ আবাসিক এলাকায় পৃথক পাহাড়ধসে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ১১ জন।

বরিশালঘোনায় নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে একটি পরিবারের দুই বোন রয়েছেন। তারা হলেন—মাইনুর আক্তার (২০) ও শাহীনুর আক্তার (২৪)।

নিহত ব্যক্তিদের ফুফাতো বোন বলেন, দুই বোনেরই দুই শিশুসন্তান আছে। মায়ের বুকে ঘুমিয়ে থাকায় শিশু দুটি বেঁচে গেছে।

অপরদিকে ফয়’স লেক লেকভিউ আবাসিক এলাকায় নিহত দুযুবক হলেন—লিটন (২৩) ও ইমন (১৪)। শুক্রবার (১৭ জুন) দিবাগত রাত দেড়টা থেকে তিনটার মধ্যে পৃথক এ পাহাড়ধসের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় আরও পাঁচজন আহত হন।

আরও পড়ুন: চট্টগ্রামের পুলিশকে পিষে মারল হানিফ বাস

ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন লিডার উচিন মারমা বলেন, গত রাতে প্রচণ্ড বৃষ্টির সময় আকবরশাহ থানাধীন ১ নম্বর ঝিল এলাকায় পাহাড়ধসে একটি পরিবারের সদস্যরা চাপা পড়েন। পরে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ সদস্যরা চারজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। আজ (শনিবার) ভোর সাড়ে ৫টা পর্যন্ত উদ্ধারকাজ চলে।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ি সূত্র জানায়, হাসপাতালে আনার পর শাহীনুর ও মাইনুরকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। তাদের মা–বাবাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

শাহীনুরের ফুফাতো বোন রেশমা আক্তার বলেন, দুই বোন ও তাদের মা-বাবা একসঙ্গে ১ নম্বর ঝিলের বাসায় থাকতেন। পাহাড়ধসে তাদের দুই বোনের এক বছর ও ছয় মাস বয়সী দুটি মেয়ে বেঁচে যায়। তারা মায়ের বুকে ছিল বলে তিনি জানান।

আরও পড়ুন: ইপিজেডে তরুণী লাশ, বাস আটক করলেও পালিয়ে গেছে চালক

অন্যদিকে দিবাগত রাত ৩টার দিকে ফয়’স লেক লেকসিটি আবাসিক এলাকায় অন্য এক পাহাড়ধসে লিটন ও ইমন নামের দুজনের মৃত্যু হয় বলে ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে জানানো হয়। ফায়ার সার্ভিস গিয়ে তাদের লাশ উদ্ধার করে। তাদের বিস্তারিত পরিচয় জানা যায়নি।

পাঁচলাইশ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাদেকুর রহমান বলেন, রাতে আকবর শাহ থানার ১ নম্বর ঝিলের বরিশালঘোনা এলাকায় পাহাড় ধসে আহত ৫ জনকে চমেক হাসপাতালে আনা হয়। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মধ্যে ২ জনকে মৃত ঘোষণা করেন। বাকিদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।

এসআই/আলোকিত চট্টগ্রাম

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!