চট্টগ্রামের করোনায় উত্তরের ‘ঝড়’, তীব্র সংক্রমণের ‘তাপ’ দক্ষিণেও

উত্তর চট্টগ্রামে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। চট্টগ্রামের উপজেলাগুলোর মধ্যে এখন পর্যন্ত হাটহাজারীতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। অন্যদিকে ফটিকছড়িতেও বাড়ছে সংক্রমিতের সংখ্যা। গত কয়েক সপ্তাহে শনাক্ত বেড়েছে মিরসরাই, সীতাকুণ্ড ও রাউজানেও।

অন্যদিকে উত্তরের তুলনায় কিছুটা কম হলেও দক্ষিণ চট্টগ্রামেও এখন বাড়ছে করোনা শনাক্তের সংখ্যা। গত পাঁচ দিনে দক্ষিণ চট্টগ্রামের দুই উপজেলা, চন্দনাইশ ও পটিয়ায় ২৪ ঘণ্টার পরিসংখ্যানে করোনা শনাক্তের সংখ্যা দুই অংকের নিচে নামেনি। এছাড়া বোয়ালখালীতেও বাড়ছে করোনা শনাক্তের সংখ্যা।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ১২ জুলাই থেকে ১৬ জুলাই পর্যন্ত চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলার ১ হাজার ৬০৮ নমুনায় করোনা শনাক্ত ও ৩৩ জন করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে। শনাক্তদের মধ্যে দক্ষিণ চট্টগ্রামের তুলনায় উত্তর চট্টগ্রামের বাসিন্দার সংখ্যা কয়েকগুণ বেশি।

আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে করোনা: গ্রামে বাড়ছে মৃত্যু, ‘পজিটিভ’ বেশি নগরে

শুক্রবার (১৬ জুলাই) চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয় জানায়, আগের ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে করোনা শনাক্তদের মধ্যে ৩৫০ জন বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা।

এরমধ্যে দক্ষিণ চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার ৮ জন, সাতকানিয়ার ১১ জন, বাঁশখালীর ১৪ জন, আনোয়ারার ৩ জন, চন্দনাইশের ১৫ জন, পটিয়ার ২৬ জন ও বোয়ালখালীর ১৬ জন।

অন্যদিকে উত্তর চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার ৪৭ জন, রাউজানের ৩৩ জন, ফটিকছড়ির ৩৯ জন, হাটহাজারীর ৭৬ জন, সীতাকুণ্ডের ১৩ জন, মিরসরাইয়ের ৩০ জন এবং সন্দ্বীপের বাসিন্দা রয়েছেন ১৯ জন।

বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, আগের ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে করোনা শনাক্তদের মধ্যে ২৯৪ জন বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা।

এরমধ্যে দক্ষিণ চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার ১২ জন, সাতকানিয়ার ৭ জন, বাঁশখালীর ৯ জন, আনোয়ারার ৭ জন, চন্দনাইশের ১২ জন, পটিয়ার ৩৬ জন ও বোয়ালখালীর ১৯ জন।

অন্যদিকে উত্তর চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার ২৪ জন, রাউজানের ১৪ জন, ফটিকছড়ির ৪২ জন, হাটহাজারীর ৫৩ জন, সীতাকুণ্ডের ১৮ জন, মিরসরাইয়ের ২৯ জন এবং সন্দ্বীপের বাসিন্দা রয়েছেন ১২ জন।

বুধবার (১৪ জুলাই) চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয় জানায়, আগের ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে করোনা শনাক্তদের মধ্যে ৩৫১ জন বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা।

এরমধ্যে দক্ষিণ চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার ৮ জন, সাতকানিয়ার ১৬ জন, বাঁশখালীর ১২ জন, আনোয়ারার ৩৪ জন, চন্দনাইশের ১৯ জন, পটিয়ার ১৭ জন ও বোয়ালখালীর ৩২ জন।

অন্যদিকে উত্তর চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার ১০ জন, রাউজানের ২২ জন, ফটিকছড়ির ২৭ জন, হাটহাজারীর ৭৫ জন, সীতাকুণ্ডের ৪৫ জন, মিরসরাইয়ের ২৮ জন এবং সন্দ্বীপের বাসিন্দা রয়েছেন ৬ জন।

মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, আগের ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে করোনা শনাক্তদের মধ্যে ৩১৯ জন বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা।

এরমধ্যে দক্ষিণ চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার ৮ জন, সাতকানিয়ার ৯ জন, বাঁশখালীর ৯ জন, আনোয়ারার ১৫ জন, চন্দনাইশের ১১ জন, পটিয়ার ২১ জন ও বোয়ালখালীর ২৬ জন।

অন্যদিকে উত্তর চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার ২৮ জন, রাউজানের ৩৫ জন, ফটিকছড়ির ৩০ জন, হাটহাজারীর ৩৬ জন, সীতাকুণ্ডের ৫০ জন, মিরসরাইয়ের ২৭ জন এবং সন্দ্বীপের বাসিন্দা রয়েছেন ১৪ জন।

সোমবার (১২ জুলাই) চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, আগের ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে করোনা শনাক্তদের মধ্যে ২৯৪ জন বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা।

এরমধ্যে দক্ষিণ চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার ৩ জন, সাতকানিয়ার ৮ জন, বাঁশখালীর ১১ জন, আনোয়ারার ২৩ জন, চন্দনাইশের ১২ জন, পটিয়ার ১৭ জন ও বোয়ালখালীর ২৭ জন।

অন্যদিকে উত্তর চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার ২৭ জন, রাউজানের ৩৫ জন, ফটিকছড়ির ৬ জন, হাটহাজারীর ৫৭ জন, সীতাকুণ্ডের ১৪ জন, মিরসরাইয়ের ৩৮ জন এবং সন্দ্বীপের বাসিন্দা রয়েছেন ১৬ জন।

প্রসঙ্গত, শুক্রবার (১৬ জুলাই) আগের ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামের ২ হাজার ৫৪৭ নমুনা পরীক্ষায় ৮০২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৪৫২ জন নগরের এবং ৩৫০ জন বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা। একইসময়ে মারা গেছেন ৯ করোনা রোগী। এরমধ্যে ১ জন নগরের এবং ৮ জন উপজেলার বাসিন্দা।

জেডএইচ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!