‘গ্যাস বোমা’ আতঙ্ক ছড়াচ্ছে কর্ণফুলীতে, আইনকেও বুড়ো আঙ্গুল

কর্ণফুলীতে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র ও বিস্ফোরক অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়াই উপজেলার মোড়ে মোড়ে বিক্রি হচ্ছে এলপিজি গ্যাসের বোতল। এতে যেকোনো সময়ে বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। সবমিলিয়ে ‘গ্যাস বোমা’ আতঙ্ক ছড়াচ্ছে কর্ণফুলীজুড়ে।

সূত্র জানায়, নিম্নমানের সিলিন্ডার ও কিটস ব্যবহার, ৫ বছর পরপর রিটেস্ট না করাসহ নানা কারণে কর্ণফুলীতে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে হতাহত এবং আগুন লাগার ঘটনা বাড়ছে। কিছুদিন আগেও সৈন্যেরটেক মোড়ে আগুনে পুড়ে গেছে ১০টির বেশি দোকান। এর আগে পুরাতন ব্রিজঘাট চত্বরে ১৬টি দোকান আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায়। মূলত গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণেই এসব আগুনের মূল কারণ।

এদিকে যানবাহন, দোকান ও গৃহস্থালীর জ্বালানি গ্যাস সিলিন্ডারও ক্রমশ বিপজ্জনক হয়ে উঠলেও প্রশাসনের যথযথ তদারকি নেই।

একাধিক সূত্র জানায়, কর্ণফুলীতে ছোট-বড় দুশতাধিক মিল-ফ্যাক্টরিতে ব্যবহার হচ্ছে গ্যাস বোতল। অথচ উপজেলায় নেই ফায়ার সার্ভিস। শহর থেকে ফায়ার সার্ভিস বাহিনী আসতে আসতে ৫০ শতাংশ পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এমনকি মহাসড়ক ও উপজেলায় চলাচল করা যানবাহনের একেকটিতে ২ থেকে ৬টি সিলিন্ডার সংযোজন করা হয়।

এদিকে জানুয়ারিতে ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ৬৫ টাকা কমিয়ে ১ হাজার ২৩২ টাকা নির্ধারণ করেছে সরকার। কিন্তু এখনো কর্ণফুলীতে ১২ কেজি এলপিজির দাম ১ হাজার ৬শ টাকা নেওয়া বলে একাধিক ভোক্তা অভিযোগ করেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার শিকলবাহা কলেজ বাজার সংলগ্ন মহাসড়কের ওপর বিসমিল্লাহ ট্রেডিং নামে দোকানে মজুত আছে কয়েক হাজার গ্যাসের বোতল। চরপাথরঘাটার খোয়াজনগর আজিম হাকিম স্কুলের সামনেও রয়েছে শত শত গ্যাসের বোতল।

এছাড়া শিকলবাহা ক্রসিং, কলেজ বাজার, মাস্টারহাট, মইজ্জ্যারটেক বাজার, সৈন্যেরটেক বাজার, ফকিরন্নির বাজার, বোর্ড বাজার, ইছানগর বাজার, চরপাথরঘাটা পুরাতন ব্রিজঘাট বাজারের অর্ধশতাধিক দোকান রাস্তায় রাস্তায় গ্যাসের বোতল মজুদ করে বিক্রি করছে।

নিয়ম অনুযায়ী, খুচরা দোকানে ১০টির বেশি বোতল না রাখার আইন থাকলেও ইচ্ছেমতো বোতল মজুত করছেন দোকানদার।

যোগাযোগ করা হলে চট্টগ্রাম বিস্ফোরক অধিদপ্তরের সহকারী বিস্ফোরক পরিদর্শক এসএম সাখাওয়াত হোসেন আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, গ্যাস ব্যবহারের নতুন নীতিমালা তৈরি হয়েছে। গ্রামের বাজারে যেনতেনভাবে গ্যাস বাজারজাত ও প্রক্রিয়াকরণ করতে পারবে না। চাইলে স্থানীয় প্রশাসন তা বন্ধ করতে পারেন।

দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে কর্ণফুলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মামুনুর রশীদ বলেন, উপজেলার কোথায় কোথায় এ ধরনের গ্যাসের বোতলের ব্যবসা হচ্ছে আমাদের জানান। আমরা তাদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অধিদপ্তরের বিধিমতে আইনি ব্যবস্থা নিব।

এসআই/আলোকিত চট্টগ্রাম

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!